ঠাকুরগাঁওয়ের অবস্থান হিমালয়ের পাদদেশে তাই শীতের প্রকোপ একটু অন্যান্য অঞ্চলের বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুদিন থেকে হঠাৎ করে এ অঞ্চলে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে তীব্র শীতের হিমেল হাওয়া বইছে। এ অবস্থায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সোমবার ভোর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায় নাই। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ।
মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আলমগীর বলেন,কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা এবং শৈত্য প্রবাহের কারণে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
গাড়ি চালক সায়েদুল ইসলাম বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।
রিকশাচালক সহিদুর রহমান বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রাজমিস্ত্রী খতিবর বলেন, অতিরিক্ত শীত এবং ঠান্ডার কারণে মানুষ কাজ করতে চাই না, এজন্য কিস্তির টাকা এবং সংসার চালাতে দেনা করে চলতে হচ্ছে।
শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে শীত বেশি হওয়ায় আমরা শীত মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।