ঠাকুরগাঁওয়ে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ছবি পাঠ্যপুস্তকে পুনঃস্থাপন ও ঢাকায় আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আজ ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চৌরাস্তায় এ সমাবেশের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনসহ আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশন ঠাকুরগাঁর জেলা কমিটির সভাপতি জিতেন তির্কী,সাধারণ সম্পাদক বেনেডিক্ট কুজুর,আদিবাসী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি ডমিনিক তিগ্যা,আদিবাসী ওঁরাও সংঘের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল মিনজ,আদিবাসী নেতা ঢেনা মুর্মু, নয়মী টোপ্পো,রত্না খুজুর,কবিরাজ মুরমু, এলবার্ট কেরকেটা,গনতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের সদস্য মাহাবুব আলম রুবেল, সংঘতি জানান-জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সায়েম, লেখক ও কলামিস্ট মাসুদ আহমেদ সুবর্ণ,ছাত্র ইউনিয়ন নেতা টিংকু রায় প্রমূখ।
বক্তারা বলেন,আওয়ামী ফ্যাসিবাদর বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের অংশগ্রহণ ছিল। ফ্যাসিবাদী শাসকের পতন ঘটেছে কিন্তু অবস্থার অবসান ঘটেনি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আদিবাসীরা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। আদিবাসীদের বাড়ি-ঘর দোকানপাটসহ বৌদ্ধবিহারে ভাংচুড় ও অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছে। তারই ধারা বাহিকতায় একটি ভুঁইফোর উগ্র জাতীয়তাবাদী সংগঠন ‘স্টেুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ এর দাবির প্রেক্ষিতে এনসিটিবি নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী সম্বলিত গ্রাফিতি বাদ দেওয়া এবং এর প্রতিবাদে আদিবাসী ছাত্রদের প্রতিবাদী মিছিলে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা এবং ১৬ ই জানুয়ারি সংক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ বাহিনী বেধরক লাঠিচার্জ,জলকামান,টিয়ারশেল ও সাউন্ডগ্রেনেড হামলা চালায়। বক্তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং পাঠ্যপুস্তকের ব্যাকরণ বইয়ে গ্রাফিতি পুনঃস্থাপনের দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন,আদিবাসিদের যথাযথ সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।সংবিধানে নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশী পরিচয় থাকলেই চলবে না,জাতি হিসাবে বাংলাদেশের সকল জাতিসত্বার স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংহের ‘ডিক্লারেশন অন দা রাইটস অফ ইন্ডিজেনাস পিপলস’ ২০০৭ সনদে পরিপূর্ণ অনুস্বাক্ষর করতে হবে। আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী ও অলিখিত সেনা শাসন অপসারণ করতে হবে।