খুলশী থানাধীন জালালাবাদ হাউসিং সোসাইটির শাকবাজারে পাশে হাশেম কর্পোরেশনের রয়েছে পাহাড়। কোলাহলপূর্ণ নগরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব এসব পাহাড়ের উপর । কিন্তু দিনে দিনে বিলীন হচ্ছে খুলশী এলাকায় পাহাড় গুলো। প্রভাবশালীদের হাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে পাহাড় । বিশাল পাহাড় কেটে করা হচ্ছে সমতল, বানানো হচ্ছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। পরিবেশ অধিদপ্তরও যেন এসব প্রভাবশালীর কাছে অসহায়। গোপনে পুরো পাহাড় কেটে ফেলার পর জানতে পারে পরিবেশ অধিদপ্তর। ততদিন পাহাড় আর পাহাড় থাকে না পুরোটা সমতল ভূমি হয়ে যায়। আর এ সুযোগে সেখানে তৈরি হয়ে যায় বিশাল ঘরবাড়ি ।
২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ইং শনিবার খুলশী থানা এলাকার জালালাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, কাটা হচ্ছে পাহাড়। ইট কিংবা টিন দিয়ে ঘেরাও করে গোপনে রাতে ও ভোরে কাটা হচ্ছে পাহাড় । প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দিন দুপুরে ও কাটেন পাহাড়। স্থানীয়রা দেখলে ও কারো বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না বা প্রতিবাদ ও করেন না । কোথায় পরিবেশ অধিদপ্তর, কোথায় প্রশাসন, অবাধে চলছে পাহাড় কাটা ।
খুলশী থানার অন্তর্গত জালালাবাদ টাওয়ার সংলগ্ন শাঁক বাজারের পাশে পাহাড় কাটার সম্পর্কে জায়গার প্রকৃত মালিকের দায়িত্বে থাকা মোঃ সেলিম প্রকাশ হন্ডা সেলিম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে, বারবার হোন্ডা সেলিম এর মুঠোফোন কল দিলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাহাড় পর্বতে ঘেরা চট্টগ্রামকে বলা হয় সৌন্দর্যের রানী । বর্তমানে অবাধে পাহাড় কাটার কারনে ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা । সামান্য বৃষ্টিতে একই কারণে পলি জমে নালা-নর্দমা ভরাট ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। এভাবে অবাধে প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটতে থাকলে,একদিন সত্যিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পাহাড়ের সৌন্দর্য।
পাহাড় কাটা বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বলেন, এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে, আমরা তদন্তের মধ্য দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত