সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পঞ্চমী তিথিতে স্বরস্বতী পূঁজা উপলক্ষ্যে দেড়শ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ৩দিন ব্যাপী দই মেলা শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তাড়াশ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামি-দামি ঘোষদের দই আসার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে বুধবার পর্যন্ত।
মেলাকে ঘিরে এলাকায় সাঁজ সাঁজ রব পড়ে গেছে। তাড়াশ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, প্রায় দেড়শ বছর আগে তাড়াশের তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায়বাহাদুর রশিক রায় মন্দিরের মাঠে প্রথম দই মেলার প্রচলন করেছিলেন বলে আমরা জেনেছি। আর তখন থেকেই প্রতিবছর এ মেলা হয়ে আসছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও তাড়াশ উপজেলা সনাতন সংস্থার সভাপতি তপন কুমার গোস্বামী জানান, আমরা শুনেছি জমিদার রাজা রায়বাহাদুর নিজেও দই খুব পছন্দ করতেন। তাই এ দিনে জমিদার বাড়ীতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে দই পরিবেশন করতেন। আর সে থেকেই জমিদার বাড়ীর সম্মুখের শিবরায় মন্দিরের মাঠে স্বরস্বতী পুঁজা উপলক্ষে তিনি ৩ দিনব্যাপী দই মেলার প্রচলন শুরু করেন। যা আজও চলছে। এ দিকে দইয়ের মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারনে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে। যেমন- ক্ষীরসা দই, শাহী দই, চান্দাইকোনার দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই,ডায়েবেটিক দই, শ্রীপুরী দই, এ রকম হরেক নামে ও দামের হেরফেরে মেলায় শত শত মণ দই বিক্রি হয়।
দই ক্রেতা মহাদেব বলেন, বিশেষ করে বগুড়ার শেরপুর, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা, ঘুড়কা, নাটোর জেলার গুরুদাসপুরের শ্রীপুর, উল্লাপাড়ার ধরইলের দই, পাবনা জেলার চাটমোহর, হান্ডিয়ালের দই এবং তাড়াশের দই প্রচুর বেচা-কেনা হয়।
মেলায় দই বিক্রি করতে আসা বলরাম ঘোষ, সুকুমার ঘোঘ, দেবেন ঘোষসহ একাধিক ঘোষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাস্প্রতিক সময়ে দুধের দাম, জ্বালানী, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারনে দইয়ের দামও বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি দই ১৮০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মেলা ৩দিন ব্যাপী হওয়ায় এবং দইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সকল ঘোষের দই বিক্রি হয়ে যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত