ঢাকাবুধবার , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“নীলাচল” মানেই বাংলার দার্জিলিং

সোহাগ আরেফিনঃ-
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫ ২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রকৃতির অপরূপ রূপবৈচিত্র্যে অনিন্দ্য সুন্দর বান্দরবানকে বলা হয় ‘পাহাড়ি কন্যা’। মেঘ পাহাড়েরর মিলনস্থল বান্দরবানের নীলগিরি-নীলাচল যেন বাংলার দার্জিলিং। পাহাড় ও প্রকৃতি প্রেমীদের মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নান্দনিক পর্যটন স্পটের নাম পার্বত্য বান্দরবান। মেঘলা, নীলাচল, নাফাখুম, দেবতাখুম, কেওক্রাডং, ডিম পাহাড়, স্বর্ণমন্দির, থানচি, চিম্বুক, বগালেক, শৈলপ্রপাত, তিন্দু, মারায়ন তং, নীলগিরিসহ আরো অসংখ্য দর্শনীয় স্থানের এক লীলাভূমি বান্দরবান।

কেন বাংলার দার্জিলিং বলা হয়ঃ-
নীলাচলকে আমরা বাংলার দার্জিলিং নামেও ডেকে থাকি। পাহাড় আর পাহাড়,, পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে অপরুপ সৌন্দর্য লুকানো। এখানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস,,চোখে পড়বে পাহাড় পেরিয়ে বিভিন্ন লোকেশনে প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই মনোরম লাগে। পাহাড়ের ভাঁজে পাহাড়ি রংবেরঙের ফুল ভ্রমণ পিয়াসুদের মোহিত করে।
মূলত পাহাড়ের বুকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতেই পর্যটকরা এখানে বেশি যান। এছাড়া দিনের অন্যান্য সময়ও ভীড় থাকে এই নীলাচলে।

আমার দৃষ্টিতে নীলাচলঃ-
আমার মতে নীলাচল দেশের এমনই একটি পর্যটনকেন্দ্র যেখানে আসলে আপনি ছোট্টো করে হলেও এই পৃথিবীর সৌন্দর্যকে অনুভব করেতে পারবেন। পারবেন প্রাণ ভরে আনন্দ উপভোগ করতেও। নীলাচলে রয়েছে আকাশ, পাহাড় আর মেঘের অপূর্ব মিতালী। রয়েছে তুলনাহীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। সকালে মেঘের ভেলার খেলা। আর পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্ত। রোজ এই দুসময়ই সবুজে ঘেরা নীলাচল ধারণ করে তার পূর্ণ রূপ।
নীলাচল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার ফুট উচ্চতায় টাইগার পাড়ায় পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। নীলাচল থেকে পুরো বান্দরবান শহরকেই দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে এখানে দূরের কক্সবাজারের নীল সমুদ্র সৈকতও হাতছানী দেয় পর্যটকদের। পাহাড়ের কোল ঘেঁষা আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো সমানভাবে বিমোহিত করে পর্যটকদের।
এই নীলাচলে মেঘমালা খেলা করে হাতের কাছেই। এখানে পর্যটকরা মূলত আসেন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য। আর এখানে একটি কথা জানিয়ে রাখি- এই রূপ ও সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য নীলাচলে রয়েছে কয়েকটি বিশ্রামাগার ও রিসোর্ট। নীলাচলে পর্যটকরা সাধারণত সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকতে পারেন।
পরবর্তীতে শুধুমাত্র যারা রিসোর্টে রাত যাপন করেন তাদেরই এখানে থাকার অনুমতি মিলে। তাই যারা মেঘের দেখা পেতে চান এবং পাহাড়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে চান তাদেরকে এক হলে এই রিসর্টে থাকতে হবে আর না হলে তবে খুব ভোরে অথবা পড়ন্ত বিকেলে যেতে হবে এই নীলাচলে।
নীলাচলে থাকতে চাইলে প্রতিটি কটেজে দুইটি করে রুম আছে। প্রতি রুমের ভাড়া পড়বে ৩ হাজার টাকা। আগে থেকেই যোগাযোগ করে বুকিং দিয়ে রাখা ভালো। এছাড়া নীলাচল বান্দরবান শহরের কাছে বলেই বান্দরবান শহরের হোটেল ও রিসোর্টগুলোতেও থাকা যাবে। আর এমন সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য থাকতেই পারেন।

যেভাবে আসবেন নীলাচলঃ-
রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে বান্দরবান যাওয়া যায়। ঢাকার শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস চট্টগ্রামের বান্দারবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি এসব বাসের ভাড়া নন-এসি ৭০০-৮০০ টাকা ও এসি ১০০০-১৬০০ টাকা। রাত ৯টার দিকে রওনা দিলে সকাল ৭টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন বান্দরবান। এছাড়া ট্রেন বা প্লেনেও ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা কক্সবাজার যাবেন। সেখান থেকে বাসে করে এই বান্দরবান জেলায় যেতে পারবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।