ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্থানীয় প্রশাসনে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা ষড়যন্ত্র ও বদলি বাণিজ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। ১৮/০২ রোজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ‘নবীনগরের ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে স্থানীয় সমবায় মার্কেটের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করেন তারা। এরপর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিল নিয়ে নবীনগর প্রেস ক্লাব চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হন। পরে সেখান থেকে পৌরসভার কার্যালয়ে গিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন।
ছাত্র-জনতার অভিযোগ- নবীনগর স্থানীয় প্রশাসনে এখনো সক্রিয় আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত। তাদের একে অপরের যোগসাজসে পৌরসভার প্রধান সহকারী আব্দুল মোমেনকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বদলি করা হয়। আবদুল মোমেন ভালো মানুষ, যে কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে।
মোমেনের বদলির মূলহোতা পৌরসভার ভান্ডার রক্ষক মোহাম্মদ জায়েদ হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।
নবীনগরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও তোপের মুখে পড়েন পৌর প্রশাসক ও ইউএনও রাজীব চৌধুরী। পরে তিনি মোমেনের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনায় নিবেন বলে ছাত্র জনতাকে আশ্বাস প্রদান করেন।
উপজেলা পরিষদ সড়কে ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম তপুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুবদল নেতা ইকবাল মোল্লা, আশরাফ হোসেন রুবেল, হযরত আলী, ছাত্র প্রতিনিধি মোহাম্মদ ফাহিম, সামদানী হৃদয়, আরিয়ান জাহিদ সহ আরো অনেকে। বক্তারা বলেন, পৌরসভার স্টাফ আব্দুল মোমেন একজন অসুস্থ ও ভালো মানুষ। তার কোন দুর্নীতি নেই, তাকে সরিয়ে মোঃ জায়েদ হোসেন এই পোস্টটা নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে ঘুষ বাণিজ্যের বিনিময়ে সাংবাদিক দালালদের যোগসাজসে তাকে বদলি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে মোমেনকে পুনরায় উক্ত পদে বহাল করে ও যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের কাছে জোর দাবি জানান। এছাড়াও ছাত্র-জনতা পাঁচজন শহীদ ছাত্র- জনতার নামে নবীনগর বাজার সংলগ্ন কলা পট্টিতে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করার জোর দাবি জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত