অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মন্টু চাকমার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নানিয়ারচর জোন (১৭ই ইষ্ট বেঙ্গল)।
মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বগাছড়ি কৈলাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা মন্টু চাকমার হাতে ঢেউটিন তুলে দেন নানিয়ারচর জোন কোম্পানি উপ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আশফাকুর রহমান।
এসময় সেনা জোন জেসিও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সার্জেন্ট মো. শহীদুল্লাহ, সার্জেন্ট শেখ মুরাদ হোসেইন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, কাঠ ব্যবসায়ী সোহেল, উপজেলা নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এমএ জলিলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নানিয়ারচর জোন উপ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আশফাক বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মন্টু চাকমাকে আজ আমরা ঢেউটিন প্রদান করেছি। পরবর্তীতে আরো সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। শুধু মন্টু চাকমাই নয়, দুর্ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়া পাহাড়ি বাঙ্গালি যে কোন সম্প্রদায়ের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে নানিয়ারচর জোন।
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, এঘটনায় অনেকেই গুজব ছড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকে আমরা যেভাবে মন্টু চাকমার পাশে আছি তাতেই তো বোঝা উচিৎ আমাদের মধ্যে কতটা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভুক্তভোগী মন্টু চাকমা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করছে না। অথচ একটা মহল স্বার্থ হাসিল করতে এই গুজব রটাচ্ছে।
জানতে চাইলে মন্টু চাকমা জানায়, আগুনে বসতঘর পুড়ে পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। তবে গতকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান, মালেক মেম্বার, সোহেল ও সমর চাকমাসহ সকলে যে সাহায্য সহযোগিতা করেছে তাতে আমি অনেক খুশি।
এদিন পোষাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য নিয়ে মন্টু চাকমার পাশে দাঁড়িয়েছেন নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজির আলম। এঘটনায় গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের কে চিহ্নিত করেছে স্থানীয়রা। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গতকাল ভোরে আকষ্মিক আগুন লেগে মন্টু চাকমার বসতঘরটি পুড়ে যায়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটে এলাকার বাঙালিরা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তবে এটি গুজব বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত