দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রুইলুই পাড়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মনটানা, অবকাশ, নীল পাহাড়ি রিসোর্ট, রেস্তোরাঁসহ আশপাশের একাধিক স্থাপনা পুড়ে যায়। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আকতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজেকের মেঘসজ্জা রিসোর্টের মালিক মো. শাহিন জানান, অবকাশ রিসোর্টের পাশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। আগুনে প্রায় ৪১ টির বেশি রিসোর্ট পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে, খাগড়াছড়ির, পানছড়ি,দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, ও পানির স্বল্পতা থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনো অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাঘাইহা জোন
সাজেকে পু ড়ে যাওয়া ৪১টি রিসোর্ট-কটেজ-রেস্তোরার নাম জানা গেছে।
সেগুলো হলো, ছায়ানীড়, তরুছায়া, সাজেক ইকো রিসোর্ট, আত্রিকা, মেঘবাতায়ন, মেঘের ঘর, অধরা, মর্নিং স্টার, শালকা, রিমি ইকো কটেজ, মুননাইট, মাচাং ঘর, মেঘলা আকাশ, সানসিটা, বিকাশ বিলাস, পাহাড়পুঞ্জি, মাদল, ইকোবিহান, সাইরু, সালকা, মেঘবতী, ইকোভ্যালী, অবকাশ, মেঘছুট, টিজিবি লুসাই, নীল পাহাড়, টংঠং, মেঘজ্যোৎস্না, অধরা, মেডভেঞ্চার, শৈলকুটির, ফদাংথাং ছাউনি, শাল্কাও চাঁদের বাড়ী কটেজ। রেস্তোরা আর টি স্টলগুলো হলো চিলেকোঠা, মেঘপাই, পেদাটিংটিং, সিস্বল, মনটানা, মারুয়া ডি রেস্তোরা ও কফিডোর টি স্টল।
সাজেক হেডম্যানসহ স্থানীয়দের বাড়ীও পুড়েছে । বিকাল ৫টায় আ গু ন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে।
স্থানীয়রা বলছেন ইকোভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত।