ককসবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড়ের তুলাতলীর ব্যবসায়ী নৃশংসভাবে আবদুল গফুর হত্যা ঘটনা ৪ মাস পার হলেও ১০ আসামীর একজনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে নি বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।
মৃতের ছেলে ও মামলার বাদী, আতিক উল্লাহ রুবেল অভিযোগ করে বলেন,তার পিতা আবদুল গফুর একজন সৎ ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সুনামের সাথে গরুর ব্যবসা ও কসাইয়ের কাজ করে আসছিলেন। সহজ-সরল প্রকৃতির এ তার পিতা কোন অপরাধের সাথে জড়িতও ছিল না। গরু ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ও গরুর বিক্রির টাকা ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে তার পিতাকে খুন করে একদল অতিলোভী লোক। পরে তার পিতাকে গুম করার ও চেষ্টা করেন তারা। এভাবে খুনের ঘটনায় জড়িতদের তিনি আসামী করেছেন।
এসব আসামীদের মধ্যে ৫ জন নামীয় আর অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন মিলে তার পিতাকে
নৃশংসভাবে খুন করে গত ২/১১/২০২৪ ইংরেজি রাত ১ টার দিকে । এ ঘটনায় রামু থানায় মামলা করেন তিনি । এ মামলা আইও হন রামুর গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিল্টন বড়ুয়া।
তিনি আরো বলেন,
আজ প্রায় ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্তকারী এ কর্মকর্তা একজন আসামীকেও গ্রেপ্তার করেন নি। তারা তার( আইও'র) বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
তুলেন আসামী গ্রেপ্তারে অবহেলার জন্যে। যা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ভয় তটস্থ আরো কাউকে এ ফাঁদে ফেলছেন কি-না।
তিনি আরো বলেন,আসামীদের নিজেদের ঘরবাড়ি রয়েছে। পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন আসামীরা । ভরনপোষণ দিচ্ছেন
নিয়মিত। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে প্রশ্ন তুলেন তারা।
স্থানীয় লোকজনও একই প্রশ্ন তুলেন আসামী গ্রেপ্তারে অবহেলার বিষয়ে।
একজন তরতাজা লোককে খুন করার পরও আসামীদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না তা কি করে হয় ?
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
মিল্টন বড়ুয়া আসামী গ্রেপ্তার করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,তিনি চেষ্টা করছেন আসামী আটকে।
এছাড়া ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও আজকালের মধ্যে তার হাতে পৌঁছবে। তখন তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত