রাঙামাটি জেলার বরকলে আজ যাত্রী বাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটে।বিকাল আনুমানিক ০৪:৩৫ ঘটিকায়মাইসছড়ি এলাকারদেওয়ানচরের পুর্বপ্রান্তে মরংছড়ির নামক স্হানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১০/০৩/২৪ তারিখ দুপুর ০২.০০ ঘটিকায় রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে আসা হরিণা গামী এম,এল, তানিয়া-২ লঞ্চটি মাইসছড়ি পৌঁছালে লঞ্চটিতে পানি উঠা শুরু করলে জাহাজের সারেং লঞ্চটি পাড়ে ভিড়ান। এসময় লঞ্চটিতে প্রায় ১২০/১৩০ জনের মত যাত্রী এবং অনেক যাএীদের মালামাল ছিল।

সকল যাত্রীরা নিরাপদে লঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার পর লঞ্চটি পানিতে ডুবে যায়।যাত্রীদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে লঞ্চে অধিক পরিমাণে মালামাল বহনের জন্য লঞ্চটি ডুবে যায়। যদিও বিরতিহীন সার্ভিসে মালামাল বহনের নিয়ম না থাকলেও তা রুটিন মাফিক বহন করে চলে। এ বিষয়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে ও লঞ্চের স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করে।

জাহাজের মালিক ও কেরানী মোঃআলমগীর(৫৩), পিতা- মৃত মনির আহাম্মেদ, সাং- রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি এর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, শিমুলতলী পুলিশ ফাঁড়িতে যাত্রী নামিয়ে লঞ্চটি ব্যাক দেওয়ার সময় একটি গাছের গুড়ির সাথে ধাক্কা লেগে জাহাজের পাটাতনের কাঠ ছিদ্র হয়ে যায়। ফলে লঞ্চটি ধীরে ধীরে পানিতে ডুবে যায়।

এতে কোন লোকজনের ক্ষয়সাধন হয়নি লঞ্চে সকল লোকজন অন্যান্য বোর্ড,বার্মা বোড ও ডিঙি নৌকা দিয়ে নিরাপদ স্হানে চলে আসে।
তবে লঞ্চে থাকা সকল মালামাল পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।

আনুমানিক মালামালের ক্ষয়ক্ষতি -৩ লক্ষ টাকা।

ঘটনাস্থলে বরকল থানার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব শাহীনুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায় যে পুলিশের একটি টিম উদ্ধারে কাজ করছে।তবে কোন হতহত হয়নি।