মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র
আন্দোলনে নিহত তওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলার আসামী আকতার হাওলাদার গারদে থেকে মাদারীপুর জেলা ক্রিকেটদলের অধিনায়ক রুবেল হাওলাদারকে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী।
সোমবার দুপুরে শহরের সুমন হোটেল সংলগ্ন মাদারীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির অফিসে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান।তিনি জানান,মাদারীপুর শহরের পুরান বাজার মুরগী পট্টির বিভিন্ন গাড়ীর ময়লা ফেলা ও ময়লা ধোয়ার কাজে গাড়ী ওয়ালাদের বাধা দিলে আক্তার হাওলাদার এর ছোট ভাই ওমর হাওলাদার আমার ফুফাতো ভাই রুবেল হাওলাদারকে অকল্য ভাষায় গালিগালাজ করে।এ নিয়ে গত ৯ মার্চ কোর্ট হেফাজতে থাকাবস্থায় তাওহিদ হত্যা মামলার আসামী আক্তার হাওলাদার মুঠোফোনে আমার ভাই রুবেল হাওলাদারকে মেরা ফেলার হুমকি দেয়। একজন গারদে থাকা আসামি কিভাবে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে? এ কাজে সহযোগীতা করতেছে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ আনিস। তিনি টাকা পয়সার মাধ্যমে একজন ছাত্র হত্যাকারী আসামীর সাথে আতাত করে গারদ খানায় থাকা অবস্থায় ফোন ব্যাবহারের অনুমতি দিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ আনিসের বিচার এবং অনতিবিলম্বে তাকে অপসারণ করার দাবী জানান তিনি। এই ঘটনার সঠিক বিচার না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান এ ছাত্রদল নেতা।এদিকে মুঠোফোনে হুমকির ঘটনায় থানায় এবং জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে জেলা জজ কোর্টের ইন্সপেক্টর মোঃআনিসের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন,"হাজতখানা থেকে কেহ কথা বলে থাকলে সেটা আমার জানা নাই।"
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন,"যদি কেহ হাজত খানার ভিতরে মোবাইলে কথা বলে আর সেটা যদি কেহ সাহায্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।"
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত