নোয়াখালীর কবিরহাটে বাজার ইজারা নিয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলা যুবদল ও ছাত্রদল নেতা সহ আহত-১০
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কবিরহাটের আমিন বাজারে হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবদল নেতা সুজন ও ছাত্রদল নেতা মিরাজ সহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আহতদের স্বজন ও স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল নেতা মিরাজ সহ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমিন বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী ইলিয়াস মেম্বারের নেতৃত্বে, আকাশ. রাসেল, জলিল মানিক, সবুজ বেলাল সহ ৫০-৬০ জন অতর্কিত ভাবে ঘটনারদিন বিকেলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে তাদের হামলায় ধানসিড়ি যুবদল নেতা সুজন , ছাত্রদল নেতা মিরাজ, ধনু মেম্বার, আবদুল মালেক, শ্রমিকদল নেতা আরিফ, কলেজ ছাত্রদলের আনোয়ার হোসেন, যুবদলের জামাল ও নিজাম সহ ১০ জন আহত হয়েছে। ইজারা নিয়ে সমঝোতা হলেও প্রতি পক্ষের লোকজন দলীয় সিদ্ধান্ত ও সমঝোতা উপেক্ষা করে দরপত্র জমা দেন। তারা এই ইজারা বাতিলএবং পুনরায় ইজারা দেওয়ার দাবি জানান। তবে প্রশাসন বলছে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমার কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। যোগাযোগ করা হলে চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ বলেন, আমি কোনো দলের পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙ্গে যায় এবং আরো কয়েকজন আহত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রæয়ারি কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন। এরপর সিডিউল ক্রয় করে অনেক নতুন ও পুরাতন দরদাতা দরপত্র জমা দেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম সমাপ্তি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ ধর ২৩ লক্ষ টাকায় উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইাজারা পায় নতুন দরদাতা চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ। এনিয়ে ইউএনও কার্যালয় থেকে বের হলে আমিন বাজারের পুরাতন ইজারাদার বিএনপি নেতা ধনু মেম্বার ও তার ছেলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সুজন অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে তারা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষ বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে উপজেলা পরিষদের মাঠে তাদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়। কোন পক্ষ এখনো আসেনি। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা বলেন,দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তখন আমি আমার অফিসে ছিলাম। তবে মারামারির কোনো ঘটনা দেখেনি। হাটবাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলেও তিনি জানান। ১৩-০৩-২০২৫