পরিচালক* রশিদ ভাই
সিনিয়র সাংবাদিক
প্রতিষ্ঠান*মেহমানখানা
মেহমানখানা-একটি মানবিক আশ্রয়স্থল, যার লক্ষ্য গরিব-অসহায়-এবং বিপদগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করা।
এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক
রশিদ ভাই সিনিয়র সাংবাদিক
তার দৃঢ় নেতৃত্বে মেহমান-খানাকে একটি অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন।এই প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের সাহায্য বা সহযোগিতা নেওয়া হয় না।
শুধুমাত্র যারা স্বেচ্ছায় দান করেন- তাদের দান গ্রহণ করা হয়।
মেহমানখানার সূচ:
করোনার সংকটের পর-
যখন দেশব্যাপী খাদ্যাভাব ও আর্থিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল-তখন মেহমানখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
* রশিদ ভাই *
করোনার সময় এই উদ্যোগ শুরু করেন, তার লক্ষ্য ছিল একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা-
যেখানে গরিব ও অসহায় মানুষেরা খাবার খাই।
তবে এটি ছিল সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ।
রশিদ ভাই সিনিয়র সাংবাদিক ‘
মেহমানখানার মাধ্যমে গরিব, অসহায় এবং নিরন্ন মানুষদের সাহায্য প্রদান করেন-এবং
কখানে বাইরে থেকে কোনো সাহায্য বা সহযোগিতা গ্রহণ হয় না।
এক দুঃখজনক ঘটন
করোনার সময়-যখন পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল-এক গরীব দক্ষিণী
মা ভিক্ষা করার জন্য এক বড়-লোকের বাসায় গিয়েছিলেন।
তার কাছে কিছু খাবারের সাহায্য চাওয়ার পর-তাকে!
হাত ধরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়! এই ঘটনাটি ছিল অত্যন্ত হৃদয় বিদারক।
একটি (মা) যিনি বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য খাবার চাইছিলেন-তাকে
এমনভাবে তাড়িয়ে দেওয়াই একে মানবতার পরি-পন্থী আচরণ হিসেবে দেখা হয়।
এই ধরনের নিষ্ঠুরতা
রশিদ ভাইয়ের
হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি করে।
তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এমন পরিস্থিতিতে মেহমানখানা প্রতিষ্ঠা করলে, এখানে আসা কোন অসহায় মানুষ কখনোই অসম্মানিত হবেন না।
তার প্রতিষ্ঠানে সবাইকে সম্মান এবং এক বেলা পেট ভরে খাওয়া হয়।
মেহমানখানার কার্যক্রম
মেহমানখানা শুরু হয়েছিল-করোনার সংকটের পর- যখন দেশের মানুষ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন ছিল।
ঘরে খাবার ছিল না-মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছিল।
রশিদ ভাই সিনিয়র সাংবাদিক’
বিশ্বাস করতেন-মেহমানখানা এমন একটি স্থান হতে হবে যেখানে কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে, স্বেচ্ছা সেবকরা তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় অন্যকে সাহায্য করবে।
এখানে কারো কাছে সাহায্য চাওয়া হয় না, তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে দান করেন, তাদের দান গ্রহণ করা হয়। এই নীতি মেহমানখানাকে একটি শক্তিশালী এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
রাশিদ ভাইয়ের নীতি;
রশিদ ভাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, সংকটকালে কাউকে তার আত্মসম্মান হারাতে দেওয়া উচিত নয়।
তাই-মেহমানখানায় কখনোই কোনো ধরনের অনুদান বা সাহায্য
চাওয়া হয় না।
এখানে আসা গরিব মানুষরা বিনা দ্বিধায় খাবার খেয়ে যায়।
এবং কখনো তাদেরকে অসম্মান বা তাড়ানো হয় না।
রশিদ ভাই
বিশ্বাস করেন-মানবতা কখনও সাহায্য চাওয়ার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, এবং মেহমানখানায় যে কেউ আসে-
তাকে সম্মান সহকারে সেবা করা হয। আজকের দিন
আজ মেহমানখানা তার ১৮৬তম সপ্তাহ পেরিয়ে এসেছে, এবং প্রতিটি শুক্রবার নামাজের পর গরিব, অসহায়, এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য ফ্রিতে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
খাবারের মেন্যুতে সাধারণত গরুর মাংস *বয়লার মাংস , ডাল, ভাত, ডিম ইত্যাদি থাকে,
মানুষদের খাওয়ার প্রয়োজন পূর্ণ করে। এই উদ্যোগটি রশিদ ভাই এবং তার সহকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবী প্রচেষ্টার মাধ্যমে চলছে।
মেহমানখানা
আজ একটি দৃষ্টান্তমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
রশিদ ভাইয়ের নেতৃত্বে মেহমানখানা প্রমাণ করেছে যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও মানবিক মূল্যবোধ এবং সহানুভূতির মাধ্যমে সমাজে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
করোনার সময়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি এবং অসহায় মানুষের প্রতি আচরণ এই প্রতিষ্ঠানকে আরও মানবিক করে তুলেছে।
রশিদ ভাইয়ের এই উদ্যোগ এবং তাঁর নীতিগুলি সমাজের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা, যেখানে সবাইকে সম্মান দিয়ে, সাহায্য এবং মানবিক সেবা দেওয়া হয়।
মেহমানখানার এই দৃষ্টান্ত আমাদের শেখায়-
সংকটকালীন সময়ে মানবিকতার এবং সহানুভূতির সবচেয়ে বড় প্রয়োজনীয়তা থাকে-এবং আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাহায্য করি, তবে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারব। ইনশাআল্লাহ।