ঝিনাইদহে সামাজিক বিরোধের জের ধরে বিএনপি নেতা হামিদুল ইসলামের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে সাতটার দিকে জেলার সদর উপজেলার ঝিনুক মালা আবাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ ঘটনায় সদর থানায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
লিখিত এজাহারে ১২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক
১। রুহল আমিন (৫০), পিতা-মাঁঙ্গন মন্ডল, (৪৫), পিতা-আব্দুল মজিদ, সাং-চর খাজুরা (ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্প ১৯নং ব্রারাক), থানা ২। মোক্তার (৩৬), পিতা-সরোয়ার, ৩। মোলাম (৩৪), পিতা-শাহাজান মন্ডল, ৪। জাহিদুল (৩১), পিতা-মৃত আজিবর মন্ডল, ৫। রিপন (৪০), পিতা-কাসেম মুন্সি, ৬। হাসান (২৭), পিতা-শাহিন, ৭। পিন্টু (৩৮), পিতা-মৃত আবু বক্কর, ৮। আলি রাজ (৪৩), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, ৯। জিহাদ (১৯), পিতা-নজরুল ইসলাম, সর্ব সাং-চর খাজুরা (ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্প), ১০। রিংকু (২৮), পিতা-রুহল আমিন, ১১। রানা (৩৩), পিতা-আলম মন্ডল, উভয়সাং-চর খাজুরা, সর্ব থানা ও জেলা-ঝিনাইদহ, ১২। নুর আলম (৩৫), পিতা-বিশারত আলী, সাং-বড় কুলচারা, থানা-শৈলকুপা, জেলা-ঝিনাইদহ, গণসহ
অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
লিখিত এজাহারের সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অভিযুক্তরা দেশীয় তৈরী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর বসত বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। ভুক্তভোগী গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে অভিযুক্তরা তাকে মারধর করেন।
এসময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর ঘরের দরজা, জানালা, টিন ভাংচুর করে অনুমান ৫০,০০০/-টাকার ক্ষতি সাধন করে ও খুন জখমের ভয়ভীতি দেখায় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী হামিদুল ইসলাম বলেন, আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমি এঘটনার বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক নিরপেক্ষকে বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।