তরুণদের জন্য দুর্যোগকালীন প্রাথমিক চিকিৎসা ও উদ্ধার প্রশিক্ষণ আয়োজন করেছে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রান
নোয়াখালী সেনবাগে আজ সোমবার দুপুরে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগ মোকাবিলা ও প্রাথমিক চিকিৎসায় সক্ষম করে তুলতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সহযোগিতায় ফার্স্ট এইড ও সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান। একশানএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সেনবাগ উপজেলার ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন।
এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য, জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, আহত ব্যক্তিদের সহায়তা এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় তরুণদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকেরা বাস্তবভিত্তিক বিভিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন), রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ, আহত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে স্থানান্তর, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ কামাল হোসেন বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণরা মানুষের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, “এই প্রশিক্ষণ আমাদের বাস্তব জীবনের জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়ক হবে। দুর্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার পাশাপাশি এই প্রশিক্ষণ থেকে বাস্তব শিখন আমরা নিজেদের পরিবার তথা সমাজের জন্য কাজে লাগাতে পারব”।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি ওয়্যারহাউজ ইনস্পেক্টর প্রশিক্ষক তম্বা সিং জানান, “এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা যায়।”
এই উদ্যোগ সম্পর্কে প্রানের প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল তরুণদের মধ্যে এমন দক্ষতা তৈরি করা, যা তাদের শুধু নিজেদের জন্য নয়, বরং তাদের পরিবার এবং কমিউনিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম করবে। জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ থাকলে প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব।”
উক্ত প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ মূল্যায়ন করা হয় এবং ভবিষ্যতে আরও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।