ঢনকার অভিজাত হাউজ বিল্ডিং কোম্পানি ‘এলায়েন্স বিল্ডার্স’পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সমুদ্রের কোল ঘেঁষে নির্মাণ করছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত চার তারকা মানের আবাসিক হোটেল। হোটেলটির নাম রাখা হয়েছে ‘জানা’। হোটেলটির নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই এর ১হাজার শেয়ার ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে চারশো কোটি টাকা। হোটেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে চার বছর সময় লাগবে বলে জানান এলায়েন্স বিল্ডার্স কতৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শেষ বিকেলে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে হোটেল ‘জানা’র নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলায়েন্স বিল্ডার্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি এম এ মোতালেব শরিফ, মহিপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি আঃ জলিল হাওলাদার, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লি সুলতান, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, থানা যুবদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মোল্ল, লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার, কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, মহিপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল্লাহ খান রাব্বি, কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজীসহ রাজনৈতিক, সাংবাদিক, হোটেল জানা’র শেয়ার হোল্ডার সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় হোটেল “জানা”র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, কুয়াকাটায় আমরাই প্রথম আধুনিক সুবিধা সম্বলিত চার তারকা মানের হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।
আমাদের হোটেলে পর্যটকদের সুবিধার্থে ডাইনিং, রেস্টুরেন্ট, এটিএম বুথ, ছাঁদ সুইমিংপুল, হেলিপ্যাডসহ আগত পর্যটকরা আধুনিক সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। হোটেলে বসেই সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বিরল দৃশ্য দেখা, সমুদ্র ও সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানটির এমডি আরো জানান, ১২’হাজার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতিটি শেয়ারে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা একজন চাইলে একাধিক শেয়ার নিতে পারবেন। হোটেলটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪’শ কোটি টাকারও বেশি। আগামী ৪ বছরের মধ্যে হোটেলটি পুরোপুরি পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করা হবে। ###