প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মানচিত্র। ইতিমধ্যে তেঁতুলিয়ায় বিলীন হয়ে চন্দ্রদ্বীপ, নাজিরপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার একর ফসলি জমি, বসভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট বাজার সহ অসংখ্য স্থাপনা। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে তেঁতুলিয়া। তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে ধানদী, নিদমী, কচুয়া, বড় ডালিয়া, তাঁতেরকাঠী, চারব্যারেট ও দিয়ারা কচুয়া এলাকা।
রবিবার সকালে তেঁতুলিয়া পাড়ের নিমদী ধানদী এলাকায় গণ অবস্থান কর্মসূচি ও মিডিয়া আউটলেট কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয়রা। শত শত নারী পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এত বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যম কর্মী এবিএম মিজানুর রহমান, এম.এ বাশার, আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও মো.শহীন।
বক্তারা বলেন, বছরের পর বছর ধরে তেঁতুলিয়া ভাঙছে। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। বিগত সরকারের আমলে বার বার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। তবে বাস্তবে বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়নি। কোনো সরকারই ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাড়ায় নি। আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে ভাঙন রোধে পদক্ষেপ না নিলে নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘর বাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। পথে বসে শতশত পরিবার। তাই বতর্মান সরকারের কাছে আমাদের দাবি ভাঙনরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে আমাদের রক্ষা করা হোক।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, গতবছর কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তবে ভাঙন রোধে দরকার স্থায়ী সমাধান। ভাঙন কবলিত এলাকা স্টাডি করে প্রকল্প তৈরি মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত