বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় যোদ্ধাকে জাতীয় পার্টির নেতা ট্যাগ লাগিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। জানা যায় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে বরাতের রাত ৩ ঘটিকায় মসজিদে এবাদত বন্দেগি ও তবারক বিতরণ শেষে বাসায় গিয়ে শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর সাইনবোর্ড বাস স্ট্যান্ড মসজিদে রাসুল (সাঃ) জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা অর্থ সম্পাদক মোঃ আখিনূর চৌধুরী, হঠাৎ ঘরের দরজায় কড়া-নাড়েন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের একদল ফোর্স, সাব-ইন্সপেক্টর জাকিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী মামলায় গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করলে দীর্ঘ ৫২ দিন অন্যায় ভাবে হাজত বাস করে গত ৭ এপ্রিল জামিনে আসেন নিরপরাদ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম যোদ্ধা গণমাধ্যম কর্মী আখিনূর চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার উলসন রোডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ কবির আহমদ চৌধুরীর সন্তান আঁখিনূর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন জাতীয় দৈনিক বাংলার গৌরব পত্রিকায় পাশাপাশি উত্তর সাইনবোর্ড বাস স্ট্যান্ডে মুসল্লিদের কথা চিন্তা করে এলাকাবাসীদের নিয়ে মসজিদে রাসুল (সাঃ)জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন , বর্তমানে তিনি উক্ত মসজিদের অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন । পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের এক স্বনামধন্য হাউজিং কোম্পানির সাইনবোর্ড প্রকল্পের পার্ট টাইম কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে সৎভাবে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। ২৪ এর জুলাই ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলনে উক্ত হাউজিং প্রকল্প থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতাকে আপ্যায়ন-তৃষ্ণা নিবারণ ও নিরাপদে অবস্থানের জন্য জায়গা দিয়েছিলেন আখিনুর চৌধুরী।তার বৌদলাতে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট নেতৃবৃন্দের খুন-জখমের মামলায় কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে বৈষম্য যোদ্ধা সমাজসেবী আখিনূরকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি সাজিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার গোবিন্দপুর দেলপাড়ার জনৈক মনির হোসেনের পুত্র মোঃ সাব্বির (২০) বাদী হয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত -৮ এ পিটিশন মামলা নং ৩২৮ / ২৪, বাদিকে মার-ধর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ, হিরাঝিল চিটাগাং রোডে নাশকতার মামলায় প্রধান আসামি করে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান সহ ১৫৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায়১২৩ নং আসামি হিসেবে গণমাধ্যম কর্মী আখিনূর চৌধুরীর নাম জুড়ে দেয় । সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ২ জানুয়ারি ২০২৫ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণ করে, মামলা নং- ৩, এ মামলায় আখিনুর জামিনে বের হলে ১৬মে ২৫ তারিখে নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার থানার সালন্দী মোল্লা বাড়ির জনৈক হাসান আলীর স্ত্রী রুনা বেগম (৪৭) বর্তমান ঠিকানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ির বাড়াটিয়া, চিশতিয়া বেকারির পূর্ব পাশে, মতিন সড়ক বসবাসকারীর ছেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক জুতা কারখানার কর্মী সজল মিয়া (২০) আওয়ামী নেতাকর্মীদের হামলায় ২০২৪ এর ২০ আগস্ট আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যায় । মৃত্যুর এই ঘটনায় নিহত সজল মিয়ার মাতা- রুনা বেগম গত ১৬ মে২০২৫ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৯ , দায়েরকৃত মামলায় আওয়ামী নেতাকর্মীদের সাথে গণমাধ্যম কর্মী আখিনুরকে ৬২ জন আসামির মধ্যে ৪২ নং আসামি হিসেবে তার নাম জুড়ে দেওয়া হয়। অথচ জুলাই আন্দোলনের প্রতিটি দিনেই সাইনবোর্ড থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সাংবাদিক আখিনুর বৈষম্য বিরোধী সক্রিয় যুদ্ধা হিসেবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। উত্তর সাইনবোর্ড নিজের কর্মরত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে এলাকাবাসী ও ছাত্র -জনতা কে সহযোগিতা করেছিলেন যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ডগাইর ও উত্তর সাইনবোর্ডের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা, আওয়ামী বিরোধী এলাকাবাসী । তাই আখিনুর এর পরিবার, এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র -জনতার দাবি বৈষম্য যোদ্ধা মিডিয়া কর্মী আখিনুর চৌধুরীকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ।