চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৮নং মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ডাকরা গ্রামে, আদালত ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জোর পূর্বক প্রবাসীর জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় যে, অভিযোগকারী শাহজাহান, সোহাগ, আলাউদ্দিন ও খাদিজা বেগম ডাকরা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বাচ্ছু মিয়ার সন্তান, বয়োবৃদ্ধ বাচ্ছু মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলেই প্রবাসী, এক ছেলে ঢাকায় ব্যবসা নিয়ে ব্যস্থ, মেয়ে স্বামীর বাড়ীতে নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্থ থাকায় বাচ্ছু মিয়ার বাড়ী পুরোই ফাঁকা, বাড়ী ফাঁকা থাকার সুযোগে বাচ্ছু মিয়ার অপর দুইভাই আব্দুল মজিদ ও পেয়ার আহাম্মদ এবং আব্দুল মজিদের তিন ছেলে খোকন, গিয়াসউদ্দিন, নাছির গং মিলে বাচ্ছু মিয়ার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মান করে যাচ্ছে, অথচ এই সম্পত্তিতে কেউ যাতে ২৯ই জুন-২০২৫ ইং সাল পর্যন্ত স্থাপনা নির্মান না করে, ২৯ই জুন-২০২৫ইং মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়, সেই মর্মে “মাহফুজা মতিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুমিল্লার পক্ষ হতে ১৩৩/১৪৫/১৪৭ ধারায় সমন জারী করে স্থানীয় ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড, স্থানীয় থানার ওসি ও আব্দুল মজিদ এবং পেয়ার আহাম্মদ গং কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আব্দুল মজিদ ও পেয়ার আহাম্মদ গং আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করে বারবার উক্ত সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মান করতে গেলে বারবার পুলিশ এসে বাঁধা দেয়, বারবার পুলিশের বাঁধা সত্বেও গত ৩/৪ দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে উক্ত সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করে, স্থাপনা নির্মান করার খবর শুনতে পেয়ে বয়োবৃদ্ধ বাচ্ছু মিয়া বাঁধা দিতে গেলে আব্দুল মজিদ ও পেয়ার আহাম্মদ এবং তাদের সন্তানেরা বয়োবৃদ্ধ বাচ্ছু মিয়াকে গালিগালাজ ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ বয়োবৃদ্ধ বাচ্ছু মিয়া স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছে এবং লিখিতভাবে অভিযোগ করার পক্রিয়া চলছে।