বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে বোরকা ও ধর্মীয় লেবাস নিয়ে বিরুপ মন্তব্য ও অশোভন আচরণেরসহ অসংখ্য অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। ২৮ মে বুধবার বাংলা বিভাগের একাধিক ছাত্রীরা অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ওবায়দুর রহমান তালুকদার ছাত্রীদেরপোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ,ধর্মীয় লেবাস নিয়ে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ, বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরন,শ্রেণিকক্ষে অপ্রাসঙ্গিক ও বিব্রতকর আলোচনা করেন।এছাড়া তিনি বোরকা পড়া ছাত্রীদের ডাকাত ও পতিতা হিসেবে আখ্যায়িত করা,হিজাব খুলতে বাধ্য করা,শরিরের গঠন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বরা,লিপিষ্টিকসহ যারা সাজ সজ্জা করেন তাদের বেশ্যা বলে ডাকা ছাড়াও কুরুচিপূর্ণ আচরনের কারনে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রীরা তার ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন বিব্রতকর অবস্থা এড়ানোর জন্য।এদিকে অনার্স ক্লাশের ছাত্রীদের সংখ্যা কমেছে তার নিত্য দিনের আচরনের কারনে।
অভিযোগপত্রে ছাত্রীরা জানিয়েছেন, এসব ঘটনায় তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ জন্য তারা অধ্যক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ওবায়দুর রহমান তালুকদার বলেন, শিক্ষকতা জীবনে এমন অভিযোগ পাইনি। এসব বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি ছাত্রীদের সন্তানের মতো দেখি।তবে তিনি ক্লাসে হিজাব খোলার কথার সত্যতা স্বিকার করে বলেন
ওদের না দেখে কেমন করে পড়াবো। হিজাব থাকলে আমার ভালো লাগেনা। তিনি বলেন আমি ক্লাসে মজা করে বলেছি গৌরনদী কলেজ থেকে চার লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে বরিশালে বদলী হয়ে এসেছি।
অভিযোগ করা ছাত্রীদের কয়েকজনকে ভাইস উপাধ্যক্ষ’র রুমে ডেকে নিয়ে বলে ব্যাপারটা আমরা দেখতেছি , আর তাদের আবেদনের উপরে লিখিত রাখে যে আমরা অভিযোগ প্রত্যাহার করলাম ।
এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্যক্ষ দেবাশীষ হালদার বলেন,ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এটা সত্য।অভিযুক্ত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ওবায়দুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা মিটিং করেছি।বাকিটা সিদ্ধান্ত হবে শৃংখলা ও উপদেষ্টা কমিটির মিটিংয়ে।
শৃঙ্খলা কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।