রামুর কচ্ছপিয়ার তুলাতলীতে কৃষকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন ৩ বছরের শিশু,২ জন শিক্ষার্থী,একজন নারী সহ ৫ জন।
আহতরা হলো-গৃহিনী শামশুন্নাহার ( ৩২)
৮ম ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা (১৫), পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আনসারুল্লাহ (১০) কৃষক ছুরুত আলম ( ৫১)
৩ বছরের শিশু ফাতেমা জন্নত সামি।
তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার ( ৩০ মে) ভোর সকালে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের কৃষক ছুরত আলমের বাড়িতে।
কৃষক ছুরত আলম জানান, তার ছেলে সিএনজি চালক। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে সে এই পেশায় রয়েছে।
সে সপ্তাহের অধিকাংশ সময় সিএনজি চালাতে রামু বা ককসবাজার থাকে। বৃহস্পতিবার সকালেও তাদের এ ছেলে আবদুল্লাহ
সিএনজি নিয়ে রামু যায়। অতি বৃষ্টির কারণে সে বাড়িতে আসতে পারে নি রাত পর্যন্ত। তবে পরিবারের বাকী সদস্যরা বাড়িতে আছে।
এরই মধ্যে ছুরত আলম
তার পালিত একটি গরু ৯২ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করে দেন স্থানীয় এক ক্রেতাকে । তবে ক্যাশ ৮০ হাজার নিয়ে বাড়িতে রাখেন। বাকী থাকে ১২ হাজার টাকা।
আর সে টাকার উপর লোলুপদৃষ্টি পড়ে
এলাকার বখাটেদের। এ জন্য বখাটে যুবকরা তার ছেলেকে ডাকার কথা বলে একটি ফন্দি আঁটে। তারা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয়
নাপিতের চর শহরআলী চর ও আশপাশের ৭/৮ জন বখাটে মিলে শুক্রবার ( ৩০ মে) ভোর সকালে
তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
এ সময় বখাটেরা তার গরু বিক্রির ৮০ হাজার টাকা, আর বাড়ির মেয়েদের হাতে কানে থাকা
২ ভরি স্বর্ণ টেনে হেচঁড়ে,মারধর করে এই সব নিয়ে নেয়। তাদের শোর চিৎকারে পাশের সমাজের সর্দার গুরা মিয়া সহ
১০/১৫ জন লোক এগিয়ে এলে লুটপাটকারীরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর এলাকায় আতংক ও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িতদের জরুরী ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবী জানান