বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সমুদ্র উপকূল অতিক্রম করলেও এখনো রেশ কাটেনি এর। থেমে থেমে ধমকা হাওয়া সহ ভারী বর্ষনে সমুদ্র ও নদনদীতে অতিরিক্ত পানি জমে তলিয়ে গেছে নিন্মাঞ্চল।বিদ্যুৎ না থাকায় রাতভর ভৌতিক পরিবেশ বিরাজ করছিল উপকুলভাগে। আজও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
একদিকে লঘুচাপ অপরদিকে অম্যাবশ্যার জো'য়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকা। রাতভর জড়ো বাতাসের পাশাপাশি সমুদ্রের ঢেউয়ের তান্ডবে সৈকত লাগোয়া সড়কের গাইড ওয়াল ধ্বসে পড়েছে। সৈকতের পাশে থাকা ঝিনুক মার্কেট, সরদার মার্কেট সহ একাধিক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দির ও ডিসি পার্ক ভবন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউয়ের তান্ডবে সৈকতে অবস্থিত বনবিভাগের সবুজ অরণ্য দুমড়ে মুচড়ে গেছে। সৈকত সুরক্ষায় স্থাপন করা জিও ব্যাগ এবং জিও টিউবের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত দুইদিন ধরে চলছে সমুদ্রের এমন তান্ডব। যার কারণে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হয়েছে সৈকত এলাকায় থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো।
এদিকে ভারী বর্ষণে সমুদ্র উপকূলভাগের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গিয়ে মৌসুমি চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর। এর প্রভাব পরেছে স্থানীয় বাজার গুলোতে।
রাতভর ঝড়ো বাতাস ও ভারিবর্ষণের কারণে আতংকে নির্ঘুম রাত কেটেছে উপকুলবাসীর।
ঝড়োবাতাসে বাড়িঘরসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে উপজেলা প্রশাসন সুত্রে।
তিন নম্বর সতর্ক সংকেতে এতটা প্রভাব ফেলবে লঘুচাপটি তা আচঁ করতে পারেনি উপকুলের মানুষ। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কিংবা সিপিপির তরফ থেকে আগাম সতর্কতা ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ এবং ইউটিউবে আবহাওয়ার একেক সময় একেক রকম খবর প্রচারিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে এমন অভিযোগ সমুদ্র উপকূলের মানুষের।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন কতৃক জানাগেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারনে আজ শুক্রবার কুয়াকাটা সৈকতে তেমন একটা পর্যটক নেই। বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল রিসোর্ট খালি রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার পর্যটকরা ঘর থেকে বের হয়নি।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অনেক পর্যটক দর্শনার্থীদের ভীড় দেখা গেছে। আগত পর্যটকদের সমুদ্রের পানিতে নামতে এবং গোসল করা থেকে বিরত রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক সচেষ্ট রয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইন্সপেক্টর শওকত হোসেন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে সমুদ্র রুদ্র মুর্তি ধারণ করেছে। এর মধ্যে যাতে পর্যটকরা সমুদ্রে গোসল না নামে এজন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। যাতে কোন পর্যটক গোসলে নেমে দূর্ঘটনার শিকার না হয় এজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত