ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলায় গত(২৯ মে) থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবারও আবহাওয়া একই রকম রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে সদর বাজারে পণ্য সরবরাহে খুব একটা হেরফের হয়নি। বাজারে পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে হুট করে কোন পণ্যের দাম বাড়তে দেখা যায়নি। প্রায় সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। যদিও অন্য সময় এমন পরিস্থিতিতে সবজি, কাঁচা মরিচ ও ডিমের মতো পণ্যগুলোর দাম বাড়তে দেখা যেত।
শুক্রবার (৩০ মে) সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দেখা গেছে, বাজারে বেশিভাগর সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়স ও ঝিঙা আছে এই তালিকায়। এছাড়া কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা কমে এসেছে, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম এখনও রয়েছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে।
মুরগির দাম কম থাকলেও ডিমের দাম মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। প্রতি ডজন ডিম ১৩৫-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের একজন পাইকারি ডিম বিক্রেতা বলেন, বর্ষার এই সিজনে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরো বেশি থাকে। সে হিসেবে এ বছর দীর্ঘদিন ধরে ডিমের দাম কম।
অন্যদিকে, বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৫০ টাকায়, কাতল ৩৫০–৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০–৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০–৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০–৭০০ টাকা, শিং ৪০০–৪৫০ টাকা, কৈ ২৫০–২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০–২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দেশি শিং ও কৈ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায়।
একজন মুরগি বিক্রেতা জানান, ব্রয়লারের চাহিদা এখন সবচেয়ে বেশি। অনেকে বেশি করে কিনে ফ্রিজে রেখে দিচ্ছেন। তবে ঈদের আগে দাম একটু বাড়বে নিশ্চিত।
একজন মাংস বিক্রেতা বলেন, আমরা কম দামে কিনলে কমেই বিক্রি করতাম। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ে বলেই আমরা পারি না। এখন সব নির্ভর করে হাটে কীভাবে দাম ওঠানামা করছে।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে শুধু মুরগি নয়, সব ধরনের মাংস ও মাছের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বাজারে সরকারিভাবে নজরদারি না বাড়ালে এর প্রভাব পড়বে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির খাদ্য নিরাপত্তার ওপর।