ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর পৃথক দু’টি অভিযানে ১জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের ১ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রবিবার রাত ও সোমবার দুপুরে এই অভিযান দু’টি পরিচালিত হয়, যা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে নবীনগর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা উপস্থিত হন জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি (৪৮) মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধি।চেয়ারম্যান রবি বিটঘর ইউনিয়নে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
এর আগে, রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নবীনগর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড পাল পাড়া নিজ বাড়ি থেকে পৌর যুবলীগ নেতা মাঞ্জুরুল হক মাঞ্জু (৪০) কে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। ৩৩ বীর নবীনগর আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ইমরান মাসুম সাব্বিরের নেতৃত্বে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের সময় মাঞ্জুরুল হকের বাড়ি থেকে একটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র, নগদ অর্থ, একটি চেক বই, দুটি পাসপোর্ট ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাঞ্জুরুল হক মাঞ্জুকে একটি আলাদা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চেয়ারম্যান রবির গ্রেপ্তার নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, তিনি বাঙ্গরা গ্রামের মানুষ। বিটঘরে হামলার ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা কল্পনাও করা যায় না। কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সবাই জানে।
অন্যদিকে, যুবলীগ নেতা মাঞ্জুকে থানায় নেওয়ার সময় থানা গেটের সামনে জনসমাগম লক্ষ্য করা যায়। তাকে জেলা কারাগারে নেওয়ার মুহূর্তে শতাধিক সমর্থক নবীনগর থানার সামনে জড়ো হন। মাঞ্জু ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে, উপস্থিত জনতাও তাৎক্ষণিকভাবে একই স্লোগানে সাড়া দেন।
একই দিনে ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনায় নবীনগরের রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।