ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৫ জুন ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুয়াকাটায় এবার ইউএনও কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, মুসুল্লিদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

Link Copied!

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে মসজিদের মুসুল্লিরা। বৃহস্পতিবার আসর নামাজ বাদে দুই মসজিদের মুসুল্লীরা একত্রিত হয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনকালে বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা বাইতুল আরোজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান, কারী নজরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফ উদ্দিন, মসজিদের মুসুল্লি মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার প্রমুখ।
এর আগে গত বুধবার ও মঙ্গলবার কুয়াকাটা সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ফটোগ্রাফাররা ইউএনও’র অপসারণের দাবীতে জুতা, ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করে।
মসজিদের জমির মালিকানা নিয়ে ইউএনও ও মুসুল্লিদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়। পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।

মসজিদের মুসুল্লীরা বলেন, কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট ও মার্কেট নির্মাণ করছে। এতে মসজিদের বাধা দিলে ইউএনও আমলে নিচ্ছে না।
মসজিদের মুসুল্লিরা আরো জানান, মসজিদের জমিতে মসজিদ কমিটি নির্মিত স্থাপনা ভেঙে ফেলে। এরপর তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে।
মুসুল্লিদের দাবি, ইউএনও রবিউল ইসলাম পতিত আওয়ামী সরকারের দোষর। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ আনেন। তিনি নিজে নিজেই ৫ আগস্টের পর নিজেকে মসজিদ কমিটির সভাপতি ঘোষণা করে। যেখানে মুসুল্লিরা তাকে কোন প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত করেননি। সেখানে কিভাবে তিনি ওই মসজিদের সভাপতি দাবি করছেন এমন প্রশ্ন ছিল মুসুল্লিদের।
এসময় মুসুল্লিরা ইউএনও রবিউল ইসলাম কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
মুসুল্লিদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউএনও রবিউল তার ফেইসবুক ওয়ালে ওই মসজিদ নিয়ে একটি দেন। সেখানে তিনি ওই জমি মসজিদের নয় সরকারি দাবী করে বলেন, সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করে কিছু স্বার্থান্বেষী ভাড়া দিয়ে লুটেপুটে খেত। যা পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভেঙে ফেলা হয়।
তিনি সেখানে আরো বলেন, মুসুল্লিদের অনুরোধে তিনি সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর ওই জমিতে পাবলিক টয়লেট ও মার্কেট নির্মাণ, সামনে ছাতা বেঞ্চ স্থাপন সহ বিভিন্ন মসজিদ উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা দিয়ে মসজিদের আয় হবে।
তিনি দাবি করেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে স্টুডিও মালিক সমিতির সভাপতি রেদোয়ান ইসলাম রাশেল সহ কিছু সুবিধাভোগী মানুষকে তার বিরুদ্ধে উস্কে দেয়ার অভিযোগ করেন। ফেইসবুক স্টাটাসে এর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
কুয়াকাটাকে শৃঙ্খলায় আনতে গিয়ে ক্যামেরাম্যান, স্টুডিও মালিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং মসজিদের মুসুল্লিদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের যে ভূল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসন জরুরি বলে মনে করছেন পর্যটনে বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতি ঘিরে কুয়াকাটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগে যেভাবে ট্রর করা হচ্ছে যা পর্যটনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এমন দাবি তাদের।
এবিষয়ে কথা বলতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।