ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট। বিশেষ করে আলিয়াবাদ গোল চত্বর এলাকায় রাস্তার দুই পাশে টিনসেড দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক দোকান। এসব দোকান নির্মাণের ফলে সড়কে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং পথচারীদের চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। ফুটপাতজুড়ে বসানো হয়েছে দোকান, অনেক সময় দোকানদাররা রাস্তার একাংশ দখল করে পণ্য সাজিয়ে রাখছেন।ফলে যানজট লেগেই থাকছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজ ছুটির সময় ও অফিস পারায় ব্যস্ত সময় দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
এছাড়া, অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ নানা ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে বলে জানান সচেতন নাগরিকরা।
শুধু আলিয়াবাদ গোল চত্বরে নয়, কোম্পানীগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে এবং বাঙ্গরা বাজার এলাকাতেও খাল ভরাট করে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ দোকানপাট নির্মাণ করতে দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযানের কথা বলা হলেও বাস্তবে কার্যকর কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি। অনেক সময় দেখা গেছে উচ্ছেদের কিছুদিন পরেই পুনরায় ঐসব দোকান গড়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা সমাধানে একদিকে যেমন দরকার কার্যকর প্রশাসনিক উদ্যোগ, তেমনি দরকার বিকল্প পুনর্বাসন পরিকল্পনা। অবৈধ দখল সরিয়ে সড়ক ও ফুটপাতকে মুক্ত রাখতে না পারলে নগর জীবনের শৃঙ্খলা ফিরবে না।
সড়কের দুপাশে অবৈধ দোকান নির্মাণ শুধু যানজট ই বাড়াচ্ছে না, বরং জননিরাপত্তা,পথচারী অধিকার ও নাগরিক জীবনের স্বাচ্ছন্দকেও ব্যাহত করছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, নবীনগর-রাধিকা সড়কের আলিয়াবাদ গোল চত্বর ও নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের বাঙ্গরা বাজার সংলগ্ন স্থাপনা গুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। খুব শিগগিরই এসব স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ এবং শিবপুর-রাধিকা—সড়ক দুটি সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের আওতাভুক্ত। জেলা প্রশাসকের অনুমোদনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার পর আমরা উচ্ছেদ অভিযানে যেতে পারব।
স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছেন, যাতে করে জনদুর্ভোগ লাঘব ও সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস পায়।