নাইক্ষ্যংছড়ি-রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীনুর রহমান প্রকাশ শাহীন ডাকাত (৩৭) ও তার সহযোগী রফিকুল রিজভিসহ তিনি ডাকাতকে মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর একটি দল
বৃহস্পতিবার ৫ জুন সকালে রামু গর্জনিয়া এলাকা বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত শাহীন রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা এলাকার মো.ইসলামের পুত্র ও রফিকুল ইসলাম রিজভি রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বড়জামছড়ি পাহাড় এলাকার বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সকাল ১১ টার দিকে তাদের আটক করে। অভিযানিক দল বিকাল ৪ টার দিকে, ডাকাত শাহিনের বাড়িতে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং এ বলেন।
গোয়েন্দার তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত শাহীনুর রহমান ও তার অন্যতম আরও দুই সহযোগী কে যৌথ বাহিনীর একটি দীর্ঘ অভিযানের পরে, রামু গর্জনিয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এবং
গ্রেফতারকৃত শাহীনুর রহমান আন্তঃজেলার একজন শীর্ষ ডাকাত। ডাকাতি, মাদক,গরু অস্ত্র ও চোরা চালানসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তার ভয়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রায় লক্ষ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে।
সে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সময় দলবলসহ সশস্ত্র মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করত।
গত কয়েক মাস মধরে এই চক্রটির ডাকাতি ও অপহরণের ভয়ে স্থানীয়রা এলাকায় রাত জেগে পাহারা দিয়ে আসছিল।
জানা গেছে,
সম্প্রতি চোরাই গরু আটকের সময় বিজিবির উপর হামলার পর থেকে শাহীনের সাম্রাজ্যে নড়বড় শুরু হয়-তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি হয়। ফসল হিসেবে ৪ জুন থেকে যৌথ অভিযানে ৫ জুন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কামন্ডার ও অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস।
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর ও বিজিবি ও র্যাব নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, তার চোরাচালান সাম্রাজ্য মজবুত করার জন্য শাহীন সীমান্তে এমন কোন অপরাধ নেই যা করেননি। তার হাতে অসংখ্য মানুষ খুন হয়েছেন। খোদ তার নিজ দলের মানুষও খুন হয়েছেন শাহীনের হাতে।
গ্রেফতারকৃত শাহীনের বিরুদ্ধে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় প্রায় ২২টি ডাকাতি,অস্ত্র, মাদক ও হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট আছে।