গ্রেফতার হচ্ছে এলাকার নিরপরাধ মানুষ, দখলদাল প্রভাবশালী পদ-পদবী ধারিরা পাহাড়তলীতে ধরা ছোয়ার বাইরে। এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন আছে আতঙ্কে।
ওসি বাবুল আজাদ বলছে কিছু করার নেই। সেকেন্ড অফিসার বলছে আমার কিছু করার নেই, স্যারদের না জানিয়ে কি আমি এরেস্ট করেছি। এ বিষয়ে পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করে বক্তব্য জানতে চেয়ে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
জামাতের সরাইপাড়া ওয়ার্ড সেক্রেটারি জালাল উদ্দিন বলছে হানিফ ভাই আমাদের সাথে আছে প্রায় তিন বছর। তিনি বলছেন আমরা কর্মী কি বিদেশ থেকে আনব ?
একটা মানুষ সাত আট দশ বছর আগে কি করেছে তা নিয়ে তো পড়ে থাকলে হবে না। আর কিছু মানুষের সামনে যদি কেউ হেটে যায় তাহলে সে ছবির ভিত্তিতে সে আওয়ামীলীগ হবে, নাকি তার বিরুদ্ধে কোন সু-নির্দৃষ্ট পদ পদবি সহ অন্যায় অত্যাচার এর রেকর্ড থাকা জরুরী তা আমার জানা নেই।
বিগত সরকারের বছরগুলোতে সবচয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমরা। আল্লাহর রাস্তায় একটা কথা পর্যন্ত বললে আমাদের জঙ্গি ট্যাগ দেয়া হত এটাতো আপনারা জানেন।
এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলছে তার ছোট ছোট চারটি সন্তান রয়েছে, তার ঘরের চাল দিয়ে বর্ষা কালে পানি পড়ে, সে জেলে গিয়েছে তার পরিবারটা না খেয়ে থাকবে। ও যদি আওয়ামীলীগ করত তাহলে ওর পরিস্থিতি তো সোনায় সোহাগা হওয়ার কথা, গত বছর তিন এক হয় সে জীবন সংগ্রামে খুব স্ট্রাগেল করছে। কিছু দিন ভাঙারি মালামাল, কিছুদিন মাছ বিক্রি এভাবেই জীবন কাটছে, তবে সে কাউন্সিলর লিটন এর দীঘীতে রাতের অংশে দারোয়ানিও করেছে। চাকরি আর রাজনীতি তো এক নয়। রাজনীতি করলেতো পদ পদবি থাকত, ব্যানার ছবি থাকত, এগুলো কিছুই তো নেই।
স্থানীয় বিএনপি নেতা আজিম বক্স বললেন " এই এলাকায় রেল লাইনে গাড়ির চাকার টায়ার ফুটলেও বিএনপি করি সুবাদে আমার নামে মামলা হত, আমার জীবনের অর্ধেক সময় পার হয়েছে মিথ্যা মামলায় জেল খেটে খেটে, মো: হানিফ আমার ভাইপো থানার অফিসারকে আমি নিজে গিয়ে বলার পরেরও আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে থানার সেকেন্ড অফিসার । অথচ এই এলাকায় আওয়ামী লীগের অনেক দোসর যারা দুর্নীতি করে কালো টাকার মালিক হয়েছে তাদের গ্রেফতারের কোন খবর নেই৷ ওই খেটে খাওয়া লোককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আসামি বানিয়ে চালান করে দিয়েছে।
হানিফের বউ আমেনা বলছে আমার স্বামী ছাড়া আমার কেউ নেই এই ছোট্ট ছোট্ট চারটা বাচ্চা নিয়ে কার কাছে যাব..?আমার স্বামী কি অপরাধে যে জেলে গেল তাও জানিনা। পুলিশ বলছে মামলা বেশি ভারি দেয় নি তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিবে।
এদিকে ওসি বাবুল আজাদ এর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত টাকার বিনিময়ে যে কাউকে এরেস্ট করা বিশেষ করে ছবি দিয়ে যে কাউকে আওয়ামী লীগের কর্মী ট্যাগ দিয়ে আসামী বানানোর গুনজন রয়েছে।
কীং আলী নামের সাবেক এক বিএনপির নেতার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবিতে একটা চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামী হয় এই ওসিকে।
শুধু তাই নয় বিগত সরকারের আমলে ২০১৩ সালে কক্সবাজারে পুলিশ পরিদর্শক থাকা কালিন অবস্থায় বোদ্ধ-মন্দির এর হামলার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে জামাতের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে যে খানে ঐ ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় তাকে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
তবে এসবে কার কি আসে যায় বহাল তবিয়তে বীর দর্পে পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড এসআই জাহেদ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত