রাজনীতি মানে শুধু পদ-পদবি নয়—রাজনীতি মানে ত্যাগ, সাহস আর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলা। সেই পথেই হেঁটেছেন মো: বিল্লাল হোসেন মোল্লা—একজন নিবেদিত প্রাণ, নির্যাতিত অথচ নত না হওয়া সৈনিক। তিনি শুধুই একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি নিজেই যেন জিয়াউর রহমানের আদর্শের প্রতিচ্ছবি।
১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয় তাঁর জিয়াপন্থী রাজনৈতিক যাত্রা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান ও সাহসী যুবনেতা। সময়ের পরিক্রমায় তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, নেতৃত্ব দেন ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর—এক ভয়াল দিন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলায় রক্তাক্ত হন বিল্লাল হোসেন মোল্লা। তবুও থেমে থাকেননি। বারবার কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দি থেকেও তিনি আদর্শচ্যুতি ঘটাননি, মাথা নত করেননি। তিন তিনবার কারাবরণ করেছেন এই ফ্যাসিবাদী শাসকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই।
তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেদনাবিধুর অধ্যায় আসে ২০১৫ সালে। নিজের পৈত্রকভিটা গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাধখলা গ্রাম, শত স্মৃতির বসতবাড়ি থেকে তাঁকে জোরপূর্বক উৎখাত করে আওমী সন্ত্রাসীরা। আজও সে ক্ষত তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায়, কিন্তু তাঁর কণ্ঠে কোনো হাহাকার নেই—আছে কেবল দৃঢ় সংকল্প আর অবিচলতা।
বিল্লাল হোসেন মোল্লার মতো নেতারাই একটি জাতির তৃণমূলের আত্মার প্রতিনিধি। তাঁর নিঃস্বার্থ সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠুক অনুপ্রেরণার আলো। রাজনীতি আজ যেখানে স্বার্থকেন্দ্রিকতায় ভরা, সেখানে এই মানুষটির জীবনের গল্প আমাদের শেখায়—আদর্শ কখনও হারায় না।