বরিশাল নগরীর কাউনিয়া দিঘীর পাড় জামে মসজিদের সাবেক ইমামের নারী কেলেংকারীর ঘটনা ফাঁস হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে,কাউনিয়া দিঘীর পাড় জামে মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা মাকসুদুর রহমানের পরকিয়া ফাঁস হওয়ায় তার প্রথম স্ত্রী চলে যান। পরে তিনি আবারো বিয়ে করেন।মাকসুদ বললেন আমার স্ত্রীর এ্যাফেয়ার ছিল। তাই তিনি চলে গেছেন।তার সাবেক স্ত্রী বলেছেন মাকসুদের চরিত্র ভালো না। এক এক করে অসংখ্য বিয়ে করেছে।পর নারী,বেগানা নারীদের সাথে সম্পর্কের কারনে চলে এসেছি।তিনি দুশ্চরিত্রের।
মসজিদের মুসুল্লীরা জানিয়েছেন,মাকসুদুর রহমানকে নারী কেলেংকারী,একাদিক নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক,মুসুল্লীদের নামে মামলা,মসজিদের দানবাক্সের টাকা আত্মসাৎ,ইসলামের আদর্শ অনুসরন না করা,মুসুল্লীদের মাঝে ফেৎনা সৃষ্টির অবিযোগে মসজিদের ইমামের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে মসজিদের স্থানীয় মুসুল্লী শাহিন জানান,কমিটির অনুমোদন ছাড়া কিভাবে মাকসুদ হুজুর আসবে,তা আমার জানা নেই।ওনার কেলেংকারী জানার পরেই ইমামের পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাকসুদুর রহমান বলেন,ঐ মসজিদ থেকে চলে আসার পরে ৩ -৪ জন ইমাম ছিলেন।ঐ মসজিদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে এজন্য আমার পক্ষে স্বাক্ষর সংগ্রহ করতেছি।আমার ১ম স্ত্রীর এ্যাফেয়ার ছিলো।তাই অন্য পুরুষের সাথে চলে গেছে।আমি দুটি বিয়ে করেছি।এছাড়া আমার ফার্ম্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স নাই, তবে আবেদন করেছি।দানবাক্সের টাকা আত্মসাতের প্রশ্নে নিরব থাকেন।
এ ব্যাপারে মসজিদের সভাপতি হারুনার রশিদের নম্বর বন্ধ ও সম্পাদক মনির হোসেন তাবলীগ জামাতে থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।