সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লীজকৃত ১৫ বিঘা আয়তনের ৫ টি পুকুরে মাছ ধরতে বাধা ও জোড়পূর্বক মাছ ধরে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, কাস্তা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল, কামাল পাশা, আনোয়ার হোসেন, মো. হারান ও আইয়ুব আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের তাড়াশ দক্ষিণ পাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুর রশিদ কাস্তা গ্রামের কছিমুদ্দিনের ছেলে মো. মাহফুজের নিকট থেকে পুরাতন শান পুকুর, আলী আশরাফের পুকুর, হাফিজ মাষ্টারের পুকুর, গুড়মা রাস্তার পাশে পুকুর ও বড় হাজির পুকুর ২০১৪ সাল থেকে লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু ওই গ্রামের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বর্তমানে মাছ ধরতে বাধা প্রদান করে এবং রশিদের অজান্তে ওই পুকুর গুলো থেকে মাছ ধরে নেয়। এতে তার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। বিষয়টি নিয়ে আব্দুর রশিদ অভিযুক্তদের সাথে সালীশ বৈঠকে বসলে তারা ওই সাড়ে ১২ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে সম্মত হন। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত শুক্রবার (২০ জুন) সকালে আব্দুর রশিদ ওই পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে অভিযুক্তরা টাকা না দিয়ে বরং হুমকী-ধামকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, আমার পুকুরটি লীজ দেয়া হয়েছে। লীজ নেয়া ব্যক্তি কার সাথে কি করছে তা আমি কিছুই জানি না। তবে কামাল পাশা একটা পুকুরের মাছ জোড় করে ধরে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত