ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাইতলা গ্রামের দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি ও নবীনগর নিউ মডেল প্রেসক্রাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম খন্দকারকে হত্যার ঘটনায় টাইগার বাবুল ওরফে বাবুল ডাকাতকে স্থানীয় লোকজন আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কাইতলা গ্রামের মৃত দুখু মিয়ার ছেলে টাইগার বাবুল ওরফে বাবুল ডাকাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়েছিলো। সাংবাদিক শাহ আলম খন্দকার তার গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশ করায় জেল থেকে বের হয়ে বুধবার (২৫-০৬-২৫) দুপুরে শাহ আলম খন্দকারের পরিবার বেড়াতে যাওয়ার যাত্রাকালে মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায় একই গ্রামের বাবুল ডাকাত খ্যাত বাবুল মিয়া।
খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মী শাহ আলম খন্দকার কাইতলার মহেশ রোডে বাবুল ডাকাতকে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় বাবুল ডাকাতের কিল-ঘুষিতে শাহ আলম মাটিতে লুটে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চারগাছ গ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই খবরে স্থানীয় লোকজন বাবুল ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেন। এলাকাবাসী ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বাবুল ডাকাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম ঘটনা সততা স্বীকার করে বলেন, নিহতের ভাই থানায় অভিযোগ করতে এসেছেন। আমরা লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করেছি। এছাড়া অভিযুক্ত টাইগার বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে।