বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে মিয়ানমারে
অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি (এএ) পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া (২৫) নামের এক বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
১১ বিজিবির অধীনস্থ জারুলিয়াছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিপি-৪৬-৪৭ পিলারের আনুমানিক ৪০০ মিটার মায়ানমার অভ্যন্তরে অংথ্রাবে ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।বিজিবি সূত্র জানায়, আরাকান আর্মি কর্তৃক পুঁতে রাখা একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া পায়ে গুরুতর জখম হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিকে নিয়ে যায়।
আহত ওমর মিয়া, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নস্থ ৯ নং ওয়ার্ড মৌলভীকাটা এলাকার বাসিন্দা সাবের মিয়ার ছৈলে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আহত ওমর মিয়া সীমান্তবর্তী চোরাচালান সিন্ডিকেটের শীর্ষ গডফাদার হিসেবে পরিচিত।
ঘটনার সময় তিনি বার্মিজ গরু ও মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্ত অতিক্রম করছিলেন। এই সময় মাইনে পা দিয়ে চাপ দিলে তা বিস্ফোরিত হয়। বিজিবি আরো বলেন, এই ধরনের অনুপ্রবেশ সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন,চোরাকারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে ওই পয়েন্ট দিয়ে গরু-মাদক আনানিয়াতে সক্রিয়। আমরা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চাই। স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের দাবি, এই সীমান্তপথে চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে বিজিবি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কড়া অভিযান প্রয়োজন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন,সীমান্ত চোরাকারবারিদের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা বাংলাদেশে নতুন ধরনের হুমকি তৈরি করতে পারে।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ও
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা'র ওসি মো. মাসরুরুল হক এই দুই কর্মকর্তা এই প্রতিবেদক কে বলেন,বিষয়টি শুনেছি। চোরাই পণ্য আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া নামের বাংলাদেশি এক যুবকের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত