নানিয়ারচরে কাপ্তাই হৃদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে মৎস্য আহরণের সময়ে জব্দকৃত কারেন্ট জাল, সুতা জাল ও মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের বুড়িঘাট বাজারে মৎস্য বিভাগের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিলাম অনুষ্ঠান শেষে এমইনটাই অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এসময় বুড়িঘাট বাজার এলাকায় মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মোবাইল মনিটরিং সেন্টারে রাখা জব্দকৃত এসব কারেন্ট ও সুতার জাল এবং মাছ আহরণের ফাঁদ দেখা যায়।
এবিষয়ে স্থানীয় জেলে সেলিম জানায়, অন্যান্য বছর ফিসারীর লোকেরা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলে। কিন্তু এবার তারা তা না পুড়িয়ে রেখে দিচ্ছে। রাতের আধারে এসব জাল বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, তার কাছে এধরনের কোন তথ্য নেই। জব্দকৃত এসব সরঞ্জাম থাকলে তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ধ্বংস করবেন বলে জানান। এসময় অভিযোগকারীর নাম পরিচয় জানতে চান তিনি। এছাড়াও অভিযোগকারীর নিকট থেকে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথাও জানান মিজানুর রহমান।
এদিকে গত মে মাস থেকে কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মৎস্য আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন জেলে গোপনে মাছ আহরণ করছে কিনা তা নিয়ে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। গত দেড় মাসেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানিয়ারচরে উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান চালাতে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবি করিমুন্নেছা বলেন, এখনও তিনি এসংক্রান্ত কোন অভিযান পরিচালনা করেননি। তবে মৎস্য অধিদপ্তর চাইলে তিনি অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জানান। এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে ও বলেন।
পরে এবিষয়ে জানতে কয়েক দফা নানিয়ারচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান কে ফোন করলেও তার ফোনে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত