বাজছে বিয়ের সানাই। বর আসতে বাকি মাত্র ঘন্টাখানেক। ঠিক তখনই পুলিশের সহায়তায় কনের বাড়িতে হাজির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মুহূর্তেই পড়ে গেল হৈচৈ। শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। আর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার।
রোববার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। লামিয়া আক্তার (১৪) একই গ্রামের রেজাউল আকনের মেয়ে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীর সাথে সঙ্গে পাশের চর আলীপুর গ্রামের এক যুবকের বিয়ের ঠিক করে মেয়েটির পরিবার। এমন খবরে থানা পুলিশের সহায়তায় সেখানে যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে লামিয়ার জন্মনিবন্ধন পরীক্ষানিরীক্ষা করে বয়স ১৪ বছর নিশ্চিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভয়ে বিয়ে বাড়িতে আর আসেনি বরপক্ষও। এদিকে অপ্রাপ্ত মেয়ের বিয়ের আয়োজন করায় শিক্ষার্থীর
ফুফা হালান সরদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবা ইসলাম জানান, বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় বর ও কনের পরিবার সমান অপরাধ করেছে। বরপক্ষকে না পাওয়ায় আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি৷ আর মেয়েটির পরিবার মুসলেকা দেয়ায় আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।