চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিম আহমেদ টিটোর বিরুদ্ধে একের পর এক ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রশাসনিক ক্ষমতার ভয়ঙ্কর অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল সরাসরি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন — যার কপি এখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
অভিযোগপত্রে টিটোকে উল্লেখ করা হয়েছে “ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতা-মত্ত এক কর্মকর্তা” হিসেবে। সেখানে পরিষ্কারভাবে দাবি করা হয় — চাঁদপুরে যোগদানের পর থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ৫% হারে ঘুষ আদায়ের নিয়মিত চক্র। হিসাব সহকারী আনোয়ার হোসেনকে ঘুষ সংগ্রহের প্রধান দায়িত্ব দিয়ে, স্পষ্ট হুমকি দেন — ঘুষ না দিলে কোনো বিলই অনুমোদিত হবে না।
📌 কিন্তু শুধু ঘুষ নয়…
নাসিম আহমেদ টিটোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও গভীর।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ২০ লাখ টাকার ভুয়া কোটেশন তৈরির মাধ্যমে প্রকল্প ছাড়াই অর্থ আত্মসাৎ এবং চাঁদপুর সার্কিট হাউজের গেট সংস্কারের নামে ২৫ লাখ টাকার বরাদ্দ তুলে নেওয়ার, অথচ বাস্তবে কাজ হয়েছে মাত্র দুই-তিন লাখ টাকার।
এছাড়া সদর হাসপাতালেও তার নামে ২২ লাখ টাকার কার্যক্রম চলছে, যা ঘিরে রয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন।
🎙️ ভুক্তভোগীদের ভাষ্য:
ঠিকাদার হাবিব তার ভিডিও বক্তব্যে বলেন—
“নাসিম টিটো পুরোপুরি বেপরোয়া হয়ে গেছে। আমরা লাভ তো দূরের কথা, তার ঘুষের চাপ সামলে কোনওমতে টিকে থাকি। আনোয়ার হোসেনকে টাকা না দিলে বিল ছাড়েই না।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও একাধিক ঠিকাদার বলেন—
“টিটোর অধীনে কাজ করতে গেলে প্রথম শর্তই ঘুষ দিতে হবে। না দিলে কাজ বন্ধ, বিল আটকে যায়।”
❗ অদ্ভুত কিছু ঘটনাও উঠে এসেছে:
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের কিছুদিন আগে তিনি নিজের অফিসের নিচতলায় নিজ খরচে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ নির্মাণ করে নিজেই উদ্বোধন করেন — যা সরকারি আদবকায়দার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আর বর্তমানে, সরকারি পদে থেকেও তিনি নিজেকে রাজনৈতিক পরিচয়ে বদলাতে চান, কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপিপন্থী পরিচয় দেন — কার স্বার্থে, কার ছত্রছায়ায়?
❓ প্রশ্ন এখন প্রশাসনের উদ্দেশে:
একজন সরকারি প্রকৌশলী কীভাবে এত দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও দায়িত্বে বহাল থাকেন?
কেন আজও তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক বা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি?
এই দুর্নীতির দায় কে নেবে?
প্রশাসন কি আবারও নীরব থাকবে?
📣 চাঁদপুরবাসীর কণ্ঠস্বর:
“আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর বিচার।
ঘুষে ভাসা একজন কর্মকর্তার কারণে পুরো গণপূর্ত বিভাগের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ।
এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না?”
সম্পাদক ও প্রকাশক : আল মামুন, নির্বাহী সম্পাদক : ফোরকানুল হক (সাকিব), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : সোহাগ আরেফীন,
প্রধান কার্যালয় : ৯২, আরামবাগ ক্লাব মার্কেট, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত