রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি এক নলা বন্দুক (অস্ত্র) উদ্ধার করেছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি।
সোমবার (৩০জুন) দুপুরে রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমানের নির্দেশনায় অস্ত্রটি উদ্ধার করে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত, পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান মনির। এ ঘটনার সূত্র ধরে পৃথক অভিযানে ডাকাতি মামলার ওয়ারেন ভুক্ত দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বাইশারী ইউনিয়নের নাসিমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও গর্জনিয়ার উত্তর বড়বিল গ্রামের মোজাফফর আহমদের ছেলে জালাল।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি, পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান মনির সাংবাদিকদের জানান- দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে রামু থানার ওসি তাঁর সরকারি ফোনের মাধ্যমে জানান গর্জনিয়ার ১নং ওয়ার্ডস্থ বড়বিল গ্রামের কতিপয় লোকজন অস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে রেখেছেন। ওই সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য উপাত্ত নিয়ে জানা যায়, অস্ত্রটি অভিযুক্ত (আটক) জাহিদুল ইসলামের নয়। সে তার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। স্থানীয় আবু তাহেরের দোকানে চা খেতে আসলে সন্ত্রাসী জুনায়েদ, বুলাইয়া ও জালালদের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ থাকায় সুযোগ বুঝে, মারপিট করে একটি দেশীয় একনালা বন্দুক জোরপূর্বক তার (জাহিদের) হাতে অস্ত্রটি ধরিয়ে দিয়ে পুলিশকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ফোনে অবহিত করে।
পুলিশ পরিদর্শক শাহজাজান মনির আরো জানান- তবে, ঘটনাস্থলে এবং আশপাশ এলাকায় সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম স্বভাব চরিত্র ভালো নয় এলাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সে সন্ত্রাসী ডাকাত শাহিনের সহযোগী ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আর অস্ত্রের ঘটনার সাথে সে জড়িত নয় মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখানো হয়েছে। আটককৃত জাহিদুল ইসলাম ত্রাস শাহীনের সহযোগী এবং জালাল সন্ত্রাসী জুনায়েদ এর সহযোগী হওয়ায় পৃথক মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও জালালের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।