নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
পাবনা পৌরসভাধীন উত্তর শালগাড়িয়া সরদার পাড়া এলাকায় ৯ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম হাফসা খাতুন। পিতার নাম হাফিজুর রহমান। বাড়ী সদর উপজেলাধীন মালন্চি ইউনিয়নের পারগোবিন্দপুর গ্রামে। সে শালগাড়িয়া সরদার পাড়া নানা মল্লিক সরদারের বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় নানার বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজা শুরু করে। এলাকায় মাইকিং করেও কোনো খোঁজ না মেলায় আশেপাশে তল্লাশি শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তারা বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে হাফসার লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পাবনা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, মরদেহ উদ্ধার হওয়া জায়গাটি নির্জন এবং সেখানে নিয়মিত এলাকার কিছু বখাটে নেশা করতো। ঘটনার দিন সেখানে তাদের কারো দেখা পাওয়া যায় নি। সেখানে সেদিন পাওয়া যায় ৯ বছরের স্কুলছাত্রী হাবসার লাশ। স্থানীয়দের ধারণা দুস্কৃতিকারীরা কৌশলে হাফসাকে অপহরণ করে সেখানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ রমজান (২৮) ও সাব্বির (২৫) নামে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
পাবনা সদর সার্কেল এএসপি শরিফুল ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম ও পিবিআই এর পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগামীকাল লাশের ময়না তদন্ত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি ঘটনা। প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তে সব ধরনের প্রযুক্তিগত ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।