খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি রেঞ্জের বনবৈচিত্র্য ধ্বংসে সক্রিয় একটি কাঠ পাচারকারী চক্র। সহজ পথ ব্যবহার করে প্রাচীন ও মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ডিপোতে জমা করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে।
অভিযোগ রয়েছে, গাছ কাটার পর এসব কাঠ লক্ষীছড়ি রেঞ্জের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জুট পারমিট বানিয়ে সারা দেশে পাচার করা হচ্ছে। এই অনিয়মে পূর্বে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাদের কার্যক্রমকে অনুসরণ করেই বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
বিশেষ করে লক্ষীছড়ি রেঞ্জ অফিসার জাহাঙ্গীর ফরেস্টারকে বারবার বিষয়টি জানানো হলেও তিনি প্রতিবারই এড়িয়ে যান—এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বনপ্রেমী ও পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের কাছ থেকে। ফলে পাচারকারী চক্রের দৌরাত্ম্য আরও বেড়েই চলেছে।
সরাসরি জাহাঙ্গীর ফরেস্টারের সাথে ফোনালাপকালে তিনি বরাবরের মতো অভিযোগটি মিথ্যে বলে দাবী করেন এবং ফোন কেটে দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (আনু ব্যাপারী) জানান, উক্ত এলাকায় পাহাড়ি বন ধ্বংসের সাথে জড়িত রয়েছেন বন কর্মকর্তারা যাদের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, কিন্তু এইদিকে তোয়াক্কা না করেই লক্ষীছড়ি রেঞ্জার জাহাঙ্গীর ফরেস্টারের নেতৃত্বে উজাড় হচ্ছে বন।
আরো জানা যায়, মহালছড়ি রেঞ্জেও একই অবস্থা, যোগাযোগ করা সম্ভব হনি রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে।
স্থানীয়দের মতে, বন রক্ষার দায়িত্বে থাকা অনেকেই বাগান মালি ও সহায়ক কর্মীদেরকে বন ব্যবস্থাপনার বাইরে রেখে বিভিন্ন অবৈধ চাঁদা আদায়ের কাজে ব্যবহার করছেন, যা পুরো রেঞ্জে অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিহীনতা বাড়িয়ে তুলেছে।
পরিবেশবাদীদের দাবি—
লক্ষীছড়ির বনবৈচিত্র্য রক্ষায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যবেক্ষণ, অনিয়ম তদন্ত এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা এখন অতীব জরুরি।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।

