রাজধানী মিরপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্প্রতি তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার ত্যাগী ও সৎ কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পল্লবী থানার ত্যাগি নেত্রী শাহাজাদীকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দেখানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কয়েকটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও নাম না জানা কিছু পত্র পত্রিকা থেকে শাহাজাদীকে “মাদক কারবারের অন্যতম নেতা” হিসেবে আখ্যায়িত করে ভুয়া তথ্য ছড়ানো শুরু হয়। পোস্টে সংযুক্ত করা হয় বিকৃত ছবি ও মনগড়া বর্ণনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এসব পোস্ট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সবকটি পোস্ট একই উৎস থেকে তৈরি করা হয়েছে এবং ছবিগুলো পুরোনো অনুষ্ঠান থেকে কেটে বিকৃত করা হয়েছে। “এটি একটি সংগঠিত অপপ্রচার। কাউকে অপরাধী বানানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এগুলো ছড়ানো হয়েছে।”
ত্যাগি নেত্রী শাহাজাদী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমার রাজনৈতিক অবস্থান ও জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য একটি গোষ্ঠী পেছন থেকে কাজ করছে। মাদক ব্যবসার মতো ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করার চেষ্টা কেবলই একটি রাজনৈতিক প্রতিশোধ। আমি আইনের দ্বারস্থ হবো।”দল করার কারনে আমার পরিবার ও আমাকে ২০২১ সালে ও ২০২৩ দুটি মামলা হয়েছিল । আমাকে কোলের শিশু রেখে কারা বরন করতে হয়েছিল । যা আমার দলের স্থানীয় নেতাকর্মী থেকে সকলে অবগত।
তার দলের বিএনপি'র নেতাকর্মীরা জানান, পল্লবী থানার মহিলা দলের ত্যাগি নেত্রী শাহাজাদীকে বহু বছর ধরে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত হওয়ায় তাকে ‘বদনাম’ করার এই প্রচেষ্টা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত নয়।
অন্যদিকে, স্থানীয়রা মনে করেন নির্বাচনের আগে এমন অপপ্রচার রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করবে। এলাকার সাধারণ জনগণ বলছে, “রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এভাবে নির্দোষ মানুষকে অপরাধী সাজানোর প্রবণতা সমাজের জন্য বিপজ্জনক।”