বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুলুছড়ি রেঞ্জের অধীনে কেয়াজুপাড়া এলাকায় অবাধে কাঠ পাচার ও বননিধন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এক বিট কর্মকর্তা। দৈনিক কালের প্রতিচ্ছবি–র সম্পাদককে তিনি সরাসরি অপমানজনক ভাষায় কথা বলেন এবং বন বিভাগের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলায় তাচ্ছিল্যও প্রকাশ করেন।
সম্পাদক জানান, খোদ বন কর্মকর্তা তাকে বলেন—
“আপনি নিউজ করেন নেতা, আপনার এলাকার ভাই-ব্রাদার। আর নিউজ করতে আইসা দেখাই দেন, কোন জায়গা থেকে কাঠ কাটছে!”
এসময় সাংবাদিক যখন তার পরিচয় ও পদবী জানতে চান, তখন তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন—
“আমাকে চিনেন না? আমাকে চিনলে কথা বলতেন না। বন কাটলে আপনার সমস্যা কি? যত পারেন নিউজ করেন, কি হবে নিউজ করে!”
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, দায়িত্বে থাকা একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কাছ থেকে এ ধরনের উত্তেজিত আচরণ এবং তথ্য না দেওয়ার প্রবণতা গণতান্ত্রিক কাঠামো ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ও অনুসন্ধানকে বাধাগ্রস্ত করা কোনোভাবেই আইনের আওতায় অনুমোদিত নয়।
স্থানীয়রা বলছেন, বননিধন, কাঠ পাচার এবং ব্রিকফিল্ডে অবৈধ কাঠ সরবরাহের বিষয়টি বহুদিন ধরেই চললেও কর্তৃপক্ষ তা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এমন আচরণে জনমনে আরও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিক সমাজ মনে করে, সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হলো তথ্য প্রদান, স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখা—কিন্তু উল্টোভাবে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও উচ্চতর বন কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।