বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ডুলুছড়ি রেঞ্জে বনজ সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা। দৈনিক কালের প্রতিচ্ছবি–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, এই বছর কোনো ইটভাটায় লাকড়ি বা বনজ গাছপালা পোড়ানো যাবে না। পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন,
“যদি কোনো ইটভাটা মালিক বনজ সম্পদ পোড়াতে চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।”
স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, ফাইতং, কেয়াজুপাড়া, ডুলুছড়ি ও আশপাশের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অবৈধভাবে ফলজ-বনজ গাছ কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করা হয়। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হলেও আগের বছরগুলোতে নজরদারির ঘাটতি ছিল বলে সামাজিকভাবে সমালোচনা দেখা গেছে।
এবার রেঞ্জ কর্মকর্তার এ কঠোর ঘোষণা স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সচেতন নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। তারা মনে করেন, যদি ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়, তবে অবৈধ কাঠ পাচার ও বন ধ্বংস অনেকাংশেই কমবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ি অঞ্চলে নির্বিচার বৃক্ষনিধন বন্ধ না হলে ভূমিধস, পানিসঙ্কট, বনজ জীববৈচিত্র্য হ্রাসসহ বড় ধরনের পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হবে। এজন্য ইটভাটাসহ সব খাতকে আইনের আওতায় এনে নজরদারি বাড়ানো জরুরি।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রেঞ্জ কর্মকর্তার ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যৌথ অভিযান ও নিয়মিত মনিটরিং জোরদারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।