ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেই নিজেকে ‘সংসদ সদস্য প্রার্থী’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুল ইসলাম মুকুল। দলীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগেই তার এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় নেতাকর্মী ও অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ নেতা হান্নান মাসুদ ও তাসনীম জারা আনুষ্ঠানিকভাবে আসাদুল ইসলাম মুকুলের হাতে মনোনয়ন ফরম তুলে দেন। এ সময় ধামরাই উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী, জাতীয় যুব শক্তি ও ছাত্র শক্তির প্রতিনিধিসহ স্থানীয় পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পরপরই আসাদুল ইসলাম মুকুল নিজেকে আসন্ন নির্বাচনের ‘এমপি প্রার্থী’ হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। তার দাবি, কেন্দ্রের আশ্বাসেই তিনি এমনটি করছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ধামরাইয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং দলের ভেতরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র থেকে এখনো কাউকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। অন্য প্রার্থীরা নিয়ম মেনে ফরম সংগ্রহ করলেও কেউ নিজেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেননি। মুকুলের এই পদক্ষেপকে কেউ কেউ পেশিশক্তির প্রদর্শনী ও ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি ওই নেতার একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, যার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের মিল নেই।
স্থানীয় নেতা কর্মিরা জানান, এনসিপির তৃণমূলে আসাদুল ইসলাম মুকুলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে তেমন কোন দৃশ্যমান ভূমিকা রাখতে পারেনি।
এ বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং এনসিপির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে সংগঠনটি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তৃণমূলে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করছে।