পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সময়ে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পৌরসভা এলাকায় অসহায় ও নিরীহ মানুষের জমি দখল এবং নিয়মিত চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে একটি প্রভাবশালী গ্রুপ জড়িত, যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন শাহজালাল কাজল নামে পরিচিত একজন ব্যক্তি। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি অংশ দ্রুত প্রভাব বিস্তার করে অর্থ উপার্জনে জড়িয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু ব্যক্তি পূর্বে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। অভিযোগে বলা হয়, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ, পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল, এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও যানচালকদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
আরও অভিযোগ করা হয়েছে, একটি এনজিওর নাম ব্যবহার করে পাহাড়ি এলাকায় পুরনো কাগজপত্র দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে করে বহু মানুষ তাদের বসতভিটা ও জমি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন।
এছাড়া ৫ আগস্টের পর একজন সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর এবং শারীরিকভাবে আহত করার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগকারীরা দাবি করছেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সচেতন মহলের দাবি, পার্বত্য অঞ্চলের মতো সংবেদনশীল এলাকায় এ ধরনের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। তারা অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।