ঢাকামঙ্গলবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আইন আদালত
  3. আজ দেশজুড়ে
  4. আজকের সর্বশেষ
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খাদ্য ও পুষ্টি
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. চট্টগ্রাম
  11. চাকরি-বাকরি
  12. ছড়া
  13. জাতীয়
  14. জীবনযাপন
  15. ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খাগড়াছড়ির গুইমারা রামসু বাজারে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় আহতদের আহাজারি

kalerproticchobi.com kalerproticchobi.com
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫ ৪:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির গুইমারা রামসু বাজারের সংঘটিত  সহিংসতার ঘটনায় আহতদের অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে  পঙ্গুত্ব জীবন পার করছেন। অর্থাভাবে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।রামসু  বাজারের ঘটনায়  আহতদের দেখতে গিয়ে এমন করুণ  দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। আহতরা অভিযোগ করেন,

গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর ও ২৮সেপ্টেম্বর গুইমারা রামসু বাজারের সহিংসতার ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা না পেয়ে বর্তমানে অর্ধমৃত অবস্থায় এখন পড়ে আছেন।গুইমারা রামসু বাজার এলাকায় গিয়ে আহতদের সাথে কথা বলে জানাযায় ঘটনায় আহতদের প্রথম দিকে চিকিৎসার খরচ বহন করলেও শেষের দিকে আর খরচের ব্যয় বহন করেনি জেলা পরিষদ। এমনকি দ্বায়িত্বরত পরিষদ সদস্যরা ভুক্তভোগীদের কল রিসিভ করেন না  এমনকি চিকিৎসার  খোঁজও রাখেননা বলে জানিয়েছেন আহত ও আহতের পরিবার।

পার্বত্য মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা যায় গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারার ঘটনায় আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য ১কোটি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া  হয়েছে জেলা পরিষদকে। জেলা পরিষদ সদস্য নিটোল মনি চাকমাকে আহ্বায়ক করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন,আহত,নিহতদের সহযোগিতার  জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। যে কমিটিতে রয়েছে জেলা পরিষদ সদস্য  কংজপ্রæ মারমা,আবদুল লতিফ,মঞ্জিলা ঝুমা ও সাথোওয়াইপ্রæ মারমা।

তবে সে কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বললে একেকজন  একেক রকম কথা বলেন,যেটি সমন্বয়ের ঘাটতি এবং সঠিক তথ্য পেতে প্রধান অন্তরায়।

্এদিকে জেলা পরিষদ থেকে কোন তথ্য চাওয়া হলেও তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।  এ সম্পর্কে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন তথ্যতো দেননিই বরং তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন। সাক্ষাৎ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সাথে উদ্ধত আচরণ করেন।জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে তথ্য নিয়ে প্রশ্ন করায় তখন পরিষদের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের ধমকের সুরে বলেন, কোথায়, কখন,কাকে কি প্রশ্ন করতে হয় সেটাও জানোনা তোমরা!!অথচ ঘটনার সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রামসু বাজারে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সব ধরণের সহযোগিতা করবেন বলে কথা দিয়ে এসেছেন বলে দাবী এলাকাবাসীরা।ঘটনার শুরু থেকে আহতদের চিকিৎসার তত্বাবধান করে আসা রামসু বাজারের গুইমারা এলাকার বাসিন্দা উক্রাচিং মারমা বলেন আমি রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক সাথে ছিলাম কার কত টাকা খরচ হয়েছে সে হিসাব আমার কাছে আছে, খুববেশি হলে প্রায় ২০ লাখের মতন টাকা খরচ হয়েছে, তাহলে বাকী টাকা কোথায় গেলো? বর্তমানে ৫/৭জন আহত অর্ধ চিকিৎসা করে সম্পূর্ণ চিকিৎসা সেবা না পেয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন!

কারো পায়ে, কারো হাতে,কারো রানে রিং খুলতে হবে অপারেশন করতে হবে।কিন্তু টাকার অভাবে সঠিক সময়ে  চিকিৎসা নিতে পারছেননা।

অসহায় এ মানুষরা আদৌ পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পেয়ে সেড়ে উঠবে কিনা যথষ্ট সন্দিহান।অধিকাংশ আহত  দিনে এনে দিনে খাওয়া পরিবার।চিকিৎসা পেতে দেরী হলে অনেকে মারাও যেতে পারেন!

আহত ক্যজাই মারমা স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী কোন রাজনীতি করেন না ঘটনার দিন আরেক পাড়ায় একটি কাজে আত্বীয়ের বাড়ীতে ছিলেন, ঘটনা যখন শুরু হয় আমি আমার স্বামীকে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই  পরে  সে আমাদেরকে উদ্ধার করতে আসে সে সমর তাঁর হাতে গুলি লাগে।এখন  টাকার অভাবে মাঝপথে  চিকিৎসা বন্ধ হয়ে আছে।আহত সাচিংনু মারমা বলেন আমার পরিবারে আমি একমাত্র উপার্জনক্ষম আমার এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।

অন্যদিকে রামসু বাজার ঘটনায় এলাকাবাসীদেরকে নিয়ে একটি  ত্রাণ কিমিটি গঠিত হয়েছিলো। সে কমিটির  সভাপতি কংলাপ্র মারমার সাথে কথা বলে আহতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বর্তমানে আহত কতজন  সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন, কতজন এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি এবং তাঁদের কোন অর্থ সংকট আছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেননা।তহবিলে আর কত অর্থ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তহবিলে আর মাত্র ৬০/৭০ হাজারের মত টাকা আছে বাকি সব টাকা বিতরণ করা হয়ে গেছে ।

জেলা পরিষদে গঠিত ত্রাণ তহবিলের আহ্বায়ক সদস্য নিটোল মনি চাকমা বলেন,ফান্ডে আর কোন টাকা নেই,আহতদের আরো কিছু সহযোগিতা করতে হলে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ে চাহিদাপত্র পাঠাতে হবে,তবে চেয়ারম্যান চাইলে কোন ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য। এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: