\ কোরবানির জন্য প্রস্তত ১৯ হাজার পশু\
জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য ১৮ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। আর কোরবানির উপযোগী ১৯ হাজার ১ শত ৬০ টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ১ হাজার ৬০টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানির পশুর হাটে পাঠানো যাবে।
এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারনে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরুর চোরাচালান রোধ করা সম্ভব হয়েছে। একারনে এবার কুরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী স্থানীয় খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, চলতি বছর জেলার ৯টি উপজেলায় ১৯ হাজার, ১ শত ৬০ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তত করা হয়েছে। এরমধ্যে গরু ১২ হাজার ৮ শত ১০ টি, মহিষ ১৫ টি, ছাগল ৬ হাজার ১ শত ১০ টি এবং ভেড়া ৮০ টি। আসন্ন কোরবানিতে জেলার চাহিদা মেটানোর পরেও প্রায় ১ হাজার ১শত ৬০ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করবেন।
খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট- বড় মোট ৩ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময়ের কাজ চলছে।
খামারি আব্দুল মান্নান, মফিজুর রহমান,আবুল কালাম ও অমিত চাকমা জানান, সব খামারেই কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময়ের কাজ চলছে। খাগড়াছড়ির খামারগুলোতে নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে গবাদিপশু লালন পালন করা হয়।
গরু ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান, আলী হোসেন ও রহমত উল্ল্যাহ বলেন, এবার কোরবানির সামনে রেখে বড় বড় খামারের পাশাপাশি গ্রামের কৃষক পরিবারগুলো বাড়িতে বাড়িতে গড়ে ৩টি- ৪টি করে গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন।
স্থানীয় খামারি ও গবাদি পশুর ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর জেলার স্থানীয় বাজারে কোরবানির জন্য পশুর সংকট হবে না। বরং কোরবানির জন্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও অন্তত প্রায় ২/৩ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। ফলে এসব পশু দেশের অন্যান্য জেলার পশুহাটে সরবরাহ করা যাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ময়নুল ইসলাম জানান, নিরাপদ গবাদিপশু পালনের মাধ্যমে জেলার খামারিরা মাংস উৎপাদনে অনন্য ভূমিকা রাখছেন। জেলায় ৫ হাজারেরও বেশি খামারি রয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ ও গবাদিপশুর চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, খাগড়াছড়ি জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য ১৮ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জেলার খামারগুলোতে স্থানীয় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী জেলায় সরবরাহ করার প্রস্ততি নিচ্ছেন খামারিরা।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোঃ আরিফিন জুয়েল বাসসকে জানান যে, আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির পশুবাহী ট্রাকসহ বিক্রেতাদের বিভিন্ন স্থানে যাতে চাঁদাবাজি ও হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেজন্য পুলিশ- প্রশাসন কাজ করছে। ৩
জীতেন বড়–য়া,খাগড়াছড়ি,