কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফ্রীতে নাগরদোলায় উঠতে না পেরে তালতলা ক্যাফের ক্যাশ বক্সে থাকা নগদ অর্থ ছিনতাই ও ক্যাফে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুকুমদাতা হিসেবে মোঃ রবিউল ইসলাম (৪২) নামের পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের নাম এসেছে।
আগুনে পুড়ে ক্যাফেতে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্যাফের মালিকপক্ষ।
এঘটনায় গত ১৩ জুন ক্যাফের মালিক শাহ্ রুবায়েত ইসলাম (২৩) বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ওই পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার জঙ্গলী গ্রামের মৃত-শাখা মন্ডলের ছেলে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ রবিউল ইসলাম (৪২), মোঃ শফি মন্ডল (৪৫), মোঃ রিয়াজ মন্ডল (৪৪) ও মোঃ আকাম উদ্দিন (৫০)।
বাকী ২ জন হলেন, একই গ্রামের মোঃ শফি মন্ডলের ছেলে সজল মন্ডল (২০) ও মোঃ আকাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহারিয়ার হোসেন অনিক।
লিখিত এজাহারের সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুন রাত ৮ ঘটিকার দিকে মোঃ সজল মন্ডল তালতলা ক্যাফেতে এসে জোরপূর্বক ফ্রীতে নাগরদোলায় উঠতে চায়। এতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন হুমকি দেন। পরে অন্যান্য অভিযুক্তরা কয়েকবার এসে হুমকি দেয়। ক্যাশ বক্সে থাকা আনুমানিক আনুমানিক ৫৭,৪০০/= (সাতান্ন হাজার চারশত) টাকা নিয়ে চলে যায়। এছাড়াও ক্যাফেতে এসে ভাংচুর চালায় ও পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এরপর গত ১১ জুন রাত ২.৩০ ঘটিকার দিকে মশাল হাতে নিয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে আসে। এসময় ১ নং অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক ক্যাফেতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুকুম দিলে অন্যান্য আসামীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে এঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও পুলিশের এএসআই জড়িত থাকায় মামলা নথিভুক্ত না করার অভিযোগ রয়েছে। লিখিত এজাহারে পুলিশের ওই এএসআইয়ের নাম তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ কুমারখালী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রবিউল ইসলামকে মুঠোফোনে কল করা হলে গণমাধ্যমকর্মীর পরিচয় দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
কুমারখালীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, থানায় এজাহার দিয়েছে। আমি ছুটিতে আছি। এবিষয়ে থানায় না গিয়ে কিছু বলতে পারছি না।