মিয়ানমার বিদ্রোহীদের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বসানো ল্যান্ডমাইন বিষ্ফোরণে বাংলাদেশী যুবকের পা উড়ে গেছে।
যুবকের নাম আরাফাতুল ইসলাম(১৭)। সে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের (জামছড়ি) ৮ নং ওয়ার্ডের খুইল্লা মিয়ার ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২২ জুন) দুপুর দেড় টায় সীমান্তের ৪৪ পিলারের ৩০ গজ পুর্বে সাপমারাঝিরি এলাকায়।
স্খানীয় সূত্র গুলো জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের চেলির টাল কেন্দ্রিক চোরাই পথে কড়াকড়ি হওয়ায় চোরাকারবারীরা ভিন্নপথ বেছে নেয়। তারা বিকল্প হিসেবে ৪৪ ও ৪৫ নম্বর সীমান্ত পিলার হয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা টেবলেট ও অন্যান্য চোরাইপণ্য আনা শুরু করে। রোববার দুপুরের এ ঘটনাটিও ইয়াবা কান্ডে।
সুত্র আরো জানান,আহত যুবক ৩ বন্ধুকে নিয়ে ইয়াবা আনতে গেলে পা পড়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বশস্ত্র গ্রুপ আরকান আর্মি বসানো ল্যান্ডমাইনে। সাথে সাথে এটি বিষ্ফোরিত হলে তার বাম পা উড়ে যায়। এটি মিয়ানমার অংশে।
বাকী বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আনেন নাইক্ষংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে জরুরী চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসা নিতে রেফার করে।
পরে তাকে ককসবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করনো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়তই মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু,ইয়াবা ও বিভিন্ন পণ্য আনা হচ্ছে। আর এদেশ থেকে যাচ্ছে বিভিন্ন থরণের ২ শতাধিক পণ্য। এসব কান্ডে চোরাকারবারিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাইন পুতে রাখা এলাকাগুলোও ব্যবহার করে মাঝে মধ্যে।
এতে প্রায়ই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে এ সীমান্তে। ,ফলে গরু বা অন্যান্য পণ্য দিয়ে আয়ের পাশাপাশি তারা অঙ্গহানির মতো ভয়াবহ ঘটনার কবলে পড়ছে।
ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন ঠিক ই। তবে এ ঘটনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে না।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে।
তবে এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়কের কাছে একাধিকবার
যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায় নি। তাই তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
সংবাদ প্রেরক- মোহাম্মদ ইউনুছ মোবাইল নম্বর