ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৬ জুন ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আজ দেশজুড়ে
  3. আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. কবিতা
  7. কৃষি সংবাদ
  8. ক্যাম্পাস
  9. খাদ্য ও পুষ্টি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. চট্টগ্রাম
  13. ছড়া
  14. জাতীয়
  15. জীবনযাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রাম আদালতের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে প্রচারণা প্রয়োজন

চট্টগ্রাম ব্যুরো-
জুন ২৬, ২০২৫ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

অন্তর্ভূক্তি মুলক গ্রাম আদালত ও গ্রাম আদালতের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারী বেসরকারী উদ্যোগে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. নোমান হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল দশটার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ চট্টগ্রামে গ্রাম আদালত সম্পকে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে গ্রাম আদালত প্রকল্প ও প্রচার প্রচারণায় বৃদ্ধিতে সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ক তথ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যায় গত ১৪ মাসে চট্টগ্রাম জেলায় ১৯১ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬৮৭টি মামলা গ্রাম আদালতে দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩২৯টি মামলা নিস্পত্তি করা হয়েছে। ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭২৩ টাকা ক্ষতিপূরণ আাদায় হয়েছে। ১৪১২টি নারী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলা গ্রাম আদালতে গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা আদালত হতে ১১৯১ টি মামলা নিস্পত্তির লক্ষে গ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সারা দেশের ৬১টি জেলায় (৩ পার্বত্য জেলা ব্যাতীত) ৪৬৮ টি উপজেলার ৪৪৫৭টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত চলমান আছে। চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার ১৯১ টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কাজ করছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. নোমান হোসেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার,স্থানীয় সরকার শাখা ,চট্টগ্রাম এম এম এন জামিউল হিকমা, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সাজেুদুল আনোয়ার ভূঁঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব ও দৈনিক আমার দেশ এর আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার হাটহাজারী সার্কল কাজী মো: তারিক আজিজ, উপপরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম আতিয়া চৌধুরী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো: আবুল বাশার, ইসলামিক ফাউন্ডেন্ডশন চট্টগ্রাম এর সহকারী পরিচালক, মীর মেুহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস, উপজেলা সমন্বয়কারী মোহছেনা আক্তার মিনা, বাবুল আরাফাত, বাদশা আলম, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল এর প্রতিনিধি সৈয়দ মামুনুর রশিদ, লিরো এর নির্বাহী পরিচালক নুরজাহান খান, সিসিএল প্রতিনিধি অনুরাজ দাশ গুপ্ত, সংসপ্তক এর সহকারী পরিচালক জয়নাব বেগম চৌধুরী, প্রত্যাশী এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম সহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকবৃন্দ । অংশগ্রহণকারীগন নিজম্ব নিয়মিত কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের প্রচার প্রচারণা করার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গ্রামীন জনসাধারণ যেন স্থানীয় ছোটখাটো দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ, অল্প সময়ে স্বল্প খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় ভাবে সমাধান করতে পারে তার জন্যই মূলত গ্রাম আাদালত চালু করেছে। ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন প্রনয়ন ও ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে।

উপপরিচালক স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বলেন, চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় ১৯১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম চলমান আছে। গ্রাম আদালতকে সক্রিয়করণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপিএর সহযোগিতায় একটি প্রকল্প ও চলমান আছে। ২০০৯ সালে থেকে এ প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে বর্তমানে প্রকল্পের তৃতীয় এবং সর্বশেষ পর্যায়ের কাজ চলমান আছে। ।

আমরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা রিসোর্স টীমের ( ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা) ৭৫ জন সদস্যের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। ১৯১ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ৪ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছি। পর্যায়ক্রমে সকল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে।

গ্রাম আদালত একটি সরকারী সেবা। এ সেবার বিষয়টি জনগণ না জানার কারণে ছোটখাটো বিরোধ সমূহ সমাধানে ভূক্তভোগীরা চরম ভোগান্তিও নানামুখি হয়রানির শিকার হতে হয়। এসকল মামলা জেলা আদালতে আসার কারণে জেলা পর্যায়ে মামলার জট ও দিন দিন বাড়ছে । এতে সরকারের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করার কাজটি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে গ্রাম আদালতকে সক্রিয়করণের জন্য সাধারণ জনগনের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি জরুরী হয়ে পড়েছে। আর এ জন্যই আজকের এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। মিডিয়া প্রতিনিধি সহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ নিয়মিত সভা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও নিজ নিজ কর্মসূচি বিষয়ক প্রচারণার সাথে গ্রাম আদালতের সেবা বিষয়ে প্রচার প্রচারণার জন্য একটি পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সরকারী এ সেবাটির বিষয়ে ব্যাপক জন সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আপনাদের সাথে আলোচনা ও সমন্বয় এর মাধ্যমে গ্রাম আদালত বিষয়ে উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।

এই পরিকল্পনা তৈরিতে আমরা চট্টগ্রামে কর্মরত সকল বেসরকারী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে যুক্ত করতে চাই। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনায় ৬ মাস অন্তর আমরা একটি সভা আয়োজন করব। প্রতিমাসের জিও এনজিও সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে কার্যক্রম মনিটরিং ও ফলোয়াপ করা হবে। প্রতিটি সেবরকারী উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ হতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যে প্রতিবেদন দেয়া হয় তাতে গ্রাম আদালত এর প্রচার-প্রচারণার তথ্য সংযুক্ত করা হবে। এভাবেই আমরা গ্রাম আদালতের সেবা সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণা জোরদার করার পাশিপাশি সরকারের এ বিচারিক সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো এটুকু প্রত্যাশা করি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিঃ দ্রঃ - বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।