পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও পর্যটকবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের বিগত এক বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকালে দেখা যাচ্ছে এক অসাধারণ সাফল্যের চিত্র। অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের গতিশীল নেতৃত্বে ট্যুরিস্ট পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়, মানবিক সেবা ও পরিবেশ সংরক্ষণেও নজির স্থাপন করেছেন।
গত নয় মাসে কক্সবাজার রিজিয়নে ছিনতাইকারী ৩৪ জন, ভাসমান অপরাধী ৪৩ জন, ইভটিজার ১০ জন, মাদক ব্যবসায়ী ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৬৪ জন হারানো শিশু, ১৫ জন জীবিত ব্যক্তি ও ২০টি মৃতদেহ। এছাড়া হারানো ২৭টি মোবাইল ফোনও মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
বিগত এক বছরে মোট ১৭৫টি সিআর মামলা রেকর্ড হয়, যার মধ্যে ১২৭টি নিষ্পত্তি এবং ৪৩টি এখনো মুলতবি। একই সময়ে ১৬টি জিআর মামলা দায়ের হয়, যার ১০টি নিষ্পত্তি (৬টি চার্জশিট, ৪টি এফআরটি) এবং ৬টি এখনও প্রক্রিয়াধীন।
অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের তত্ত্বাবধানে ট্যুরিস্ট পুলিশ একের পর এক প্রশংসনীয় কাজ করেছে এরমধ্যে ছিনতাইকৃত ১০,৫০০ টাকা ও iPhone 16 Pro Max উদ্ধার করে পর্যটকের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় জড়িত ৫ জন আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়, রাশিয়ান পর্যটক মিস মনিকা কবিরের হারানো ব্যাগ মাত্র ২ দিনের মধ্যে উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়, হারানো ক্যামেরা ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়, ট্যুরিস্ট হয়রানির ঘটনায় ১৭টি ক্যামেরা জব্দ এবং একাধিক ক্যামেরাম্যান আটক করা হয়।
তাছাড়া পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিচালনা করেছে বিচ ক্লিনিং কার্যক্রম, বিন সরবরাহ এবং মারমেইড বীচ রিসোর্টের অবৈধ সম্প্রসারণ উচ্ছেদ অভিযান। লাইট হাউজ এলাকায় অসামাজিক কার্যক্রম রোধে অভিযান চালিয়ে ১৩ জন নারী-পুরুষকে আটক করে একটি সুড়ঙ্গপথও আবিষ্কার করে পুলিশ।
এছাড়া, স্পা সেন্টার, কবিতা চত্ত্বর ও ভ্রাম্যমাণ মাছের দোকানে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপ বন্ধ করা হয়।
অন্ধ শিশু, হারানো প্রেমিক যুগল, প্রতারণার শিকার নারীসহ বহু মানুষকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এমনকি জার্মান নাগরিককে মিনারেল ওয়াটারের পরিবর্তে টিউবওয়েলের পানি দেয়ার অভিযোগে হোটেল কর্মীকে আটক করে সতর্ক বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। একইসঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন ও পর্যটকদের সহায়তায় ১০টি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের কৌশলী দিকনির্দেশনায় কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশ আজ দেশের অন্যতম দক্ষ ও মানবিক পুলিশ ইউনিটে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিজম বিজনেস সোসাইটি ও কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও ট্যুরিস্ট পুলিশকে সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করা হয়, যা তাদের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি বহন করে।
তাছাড়া, ট্যুরিস্ট পুলিশের দুই নারী সদস্য “উইমেন ট্যুরিজম লিডার অ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেন, যা নারী নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
পর্যটননির্ভর এই অঞ্চলে নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও মানবিক সেবার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের সাফল্য প্রশংসনীয়। অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের দক্ষ নেতৃত্বে কক্সবাজার শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক মানের নিরাপদ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।

